কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে একটি সাংবাদিক পরিবারের জমি দখলে নিতে নিয়মিত মহড়া দিচ্ছে একদল ভূমিদস্যু। এ ঘটনায় উপজেলার গুনধর ইউনিয়নের কদিম মাইজ হাটি গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় সংঘাত ও সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
ভুক্তভোগীরা হলেন একই এলাকার সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম তার মা হালিমা আক্তার ও তার ভাই আজিজুল ইসলামসহ আরো পাচঁ বোন।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সালে সাংবাদিক শহিদুল ইসলামের মা হালিমা আক্তারের স্বামী মো. আবুল হাসেম মারা যাবার পর পরিবারের মা হালিমা আক্তারসহ তার তিন পুত্র ও ছয় মেয়ের মধ্যে বসতভিটা ছাড়া তাদের সম্পত্তি গত ২০১২ সনে করিমগঞ্জ রেজিট্রি অফিসের মাধ্যমে দলীল মূলে সোলেনামা বন্টন করে রেজিস্ট্রিকৃত দলিল অনুযায়ী ভোগদখল করে আসছেন। পরবর্তীতে তাদের যার যার সম্পত্তি নিজ নিজ নামে জমা-খারিজও (নামজারি) করে নেন তারা।
তার মধ্যে পরিবারে এক সদস্য জহিরুল ইসলাম জুয়েল গত ৫ বছর আগে পরিবার থেকে বিভিন্ন কারণে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে তাকে পুঁজি করে এলাকার গিয়াস উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একদল সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যু জহিরুলকে নিয়ে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে সাংবাদিকসহ হালিমা আক্তারের পরিবারের অন্য সদস্যদের জমি বেদখল করতে এলাকায় নিয়মিত দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া ও হত্যার হুমকি দিচ্ছে। তার ওই জমি দখল করতে পাঁয়তারা করছে।
কদিমাইজ হাটি গ্রামের আনার মিয়া, জুয়েল মিয়া ও লতিব মিয়া বলেন, বসতবাড়ি ছাড়া তাদের পরিবারে সকল সম্পত্তি রেজিট্রিকৃত সোলেনামা দলীলমূলে বন্টন হয়ে অনেকদিন ধরে যার যার ভোগদখলে আছেন। কিন্ত এলাকার কিছু ভূমিদস্যুরা এ পরিবারের এক ভাই জহিরুল ইসলামকে পুঁজি করে ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে তাদেরকে এমন হুমকি ও হয়রানি করছে।
ভুক্তভোগী মদিনা আক্তার ও সাংবাদিক শহিদুল ইসলামসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা জানান, এসব আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি। যা সবার মাঝে রেজিস্ট্রিকৃত সোলেনামা দলিল মূলে বন্টন আছে ও যার যার নামে নামজারিও রয়েছে। ভূমিদস্যুদের ব্যাপারে আমরা করিমগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগও জানিয়েছি।
করিমগঞ্জ থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। তবে থানায় পুলিশ সদস্য কম থাকায় মাঠে যাওয়া হয়নি। এ নিয়ে যদি কোনোরকম সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।