শিক্ষাঙ্গনে মানুষ গরার কারীগর শিক্ষকদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে গোটা শিক্ষক সমাজ ও সচেতন মহল।যেই শিক্ষকরা ছাত্র-ছাত্রীদেরকে মাধ্যমিকের পাঠ চুকিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হয়ে দেশের নাম করা বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে চান্স পেয়ে মস্ত বড়ো অফিসার হয়।আর এই মহান পেশার শিক্ষকদের উপর যদি হামলা করা হয় সেই শিক্ষাঙ্গনে একটি কালো অধ্যায়ের সুচনা হয়।পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকেলে পঞ্চগড় -ঢাকা মহাসড়কে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন পালিত হয়। কর্মসূচিতে সদর উপজেলার মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক-কর্মচারীরা অংশ নেয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহির, সহ সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়, সদর উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, পঞ্চগড় সদর উপজেলা শিক্ষক কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিমিটেডের সেক্রেটারি মফিজল হক, সিনিয়র শিক্ষক আজাহারুল ইসলাম জুয়েল, হাড়িভাসা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আফছার আলী প্রমূখ। বক্তারা বলেন, গত সোমবার (১৯ আগষ্ট) সকালে হাড়িভাসা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি সীমানা প্রাচির নির্মাণ কাজ শুরু করলে স্কুলে নিজেদের জমি আছে দাবি করে কাজে বাধা দেয় হাড়িভাসা গ্রামের নওশের খা ও মামুনের নেতৃত্বে একটি সন্ত্রাসী দল। এ সময় তাদের বাধা দিতে গেলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক শামস কিবরিয়া প্রধানের ওপর চড়াও হয় তারা। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে অপর দুই শিক্ষককেও মারধর করা হয়। স্কুলের শিক্ষকদের মারধর করতে দেখে শিক্ষার্থীরা সেখানে আসলে তাদের ওপরও বর্বরোচিত হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় ৯ জন শিক্ষার্থী আহত হয়। তাদের দ্রুত পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় ২ জন শিক্ষার্থীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। খবর পেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় সোমবার রাতেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক শামস কিবরিয়া প্রধান বাদি হয়ে নওশের খা, মামুনসহ ২৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩০-৩২ জনকে আসামী করে পঞ্চগড় সদর থানায় একটি মামলা করেন।