ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া কমপ্লেক্সে ন্যক্কারজনক হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদ এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন করেছে চুয়াডাঙ্গায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে গণমাধ্যমকর্মীরা বলেন, বর্তমান অর্ন্তবর্তীকালীন নিরপেক্ষ সরকারের আমলে গণমাধ্যমের উপর হামলার ঘটনা দুঃখজনক। গণমাধ্যমকর্মীরা জনগনের পক্ষে কাজ করে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনেও গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিলো। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজীব হাসান কচি, সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মানিক আকবর, সিনিয়র সাংবাদিক আজাদ মালিতা, এমএম আলাউদ্দিন, নাজমুল হক স্বপন, রফিকুল ইসলাম, এমএ মামুন, জামান আখতার, জান্নাতুল আওয়লিয়া নিশি, হুসাইন মালিক ও মেহেরাব্বিন সানভী। চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজীব হাসান কচি বলেন, সব সরকারের আমলেই গণমাধ্যমকর্মীরা হামলা-মামলার শিকার হচ্ছে। এতেই প্রমাণ হয় সাংবাদিকরা নিরপেক্ষ। কারো চাটুকারিতা করলে সব সরকারের আমলে হামলা হতো না। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মানিক আকবর বলেন, গণমাধ্যমে উপর হামলা রাষ্ট্রের জন্য ভালো বার্তা দেয় না। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রাষ্ট্রের জবাবদিহিতার অন্যতম সূচক। সিনিয়র সাংবাদিক আজাদ মালিতা বলেন, ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়ার উপর যে হামলার ঘটনা ঘটেছে, এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার করে বর্তমান সরকার স্বচ্ছতার প্রমাণ দেবে বলে আমাদের বিশ^াস। সিনিয়র সাংবাদিক নাজমুল হক স্বপন বলেন, গণমাধ্যমকর্মীরা নিরাপদ হলে রাষ্ট্র নিরাপদ হবে। ছাত্র-জনতার অর্জন গুটিকয় দূষ্কৃতিকারীর হামলায় ম্লান হতে দেয়া যাবে না। সরকারের পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কারিগরদেরও দায়িত্ব নিতে হবে সিনিয়র সাংবাদিক এমএম আলাউদ্দীন বলেন, গণমাধ্যমকর্মীরা কারো পক্ষের না। এরা রাষ্ট্রের সম্পদ। এদের উপর হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। তিনি বলেন, ঐতিহাসিক ৫ আগস্টের পটভুমিতে গণমাধ্যমকর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করে।