ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান। সেই থেকে ফেনী জেলার ছয় উপজেলার ৪৩ ইউনিয়নের মধ্যে ৪২ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ৫ পৌরসভার মেয়র ও ৬ উপজেলা চেয়ারম্যান, ৩ সংসদ সদস্য আত্মগোপনে রয়েছেন। এতে সেবা প্রার্থীরা অনেকটা বিপাকে পড়েছেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের দৈনন্দিন সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। ৪২ টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বার সবাই আওয়ামী লীগের সরকারের পতনের ফলে আত্মগোপনে থাকায় এই ইউনিয়ন পরিষদ গুলো খোলাই হয়নি। শুধমাত্র সোনাগাজী উপজেলাধীন নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাত্র একজন মেম্বারকে নিয়ে অফিসে বসে জনগণকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। যদিও মহিলা মেম্বারসহ ১১ জন মেম্বার আওয়ামী লীগ সমর্থিত। জহিরুল আলম জহির সোনাগাজী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি ২০২২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থীকে হারিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। খবর নিয়ে জানা যায়, নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও নবাবপুর ইউনিয়ন বিএনপি-র সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন ভূঁইয়াসহ যুবদল, ছাত্রদল, নবাবপুর ইউনিয়নের জামাত-শিবিরের নেতৃবৃন্দের অক্লান্ত পরিশ্রম ও সঠিক দিকনির্দেশনার ফলে খুব একটা ঝামেলা পোহাতে হয়নি এই ইউনিয়নে বসবাসকারী আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের। জাতীয় সংসদ, উপজেলা, পৌর এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ফেনী স্টাইলের কারনে অনেকেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ও ডামি প্রার্থীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আ.লীগ সমর্থীতরা জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ৫ আগস্ট ঢাকা মার্চের আন্দোলনের পর থেকে এসব জনপ্রতিনিধিরা আত্মগোপনে চলে যান। অনেকেই নিজেদের ব্যক্তিগত মুঠোফোনগুলো বন্ধ রেখেছেন। খোলা থাকলেও কল রিসিভ করেননা। নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম জহির বলেন, আমার এলাকার জনগণ কঠিন এক পরিস্থিতি মোকাবেলা করে আমাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন। তাই আমি সব সময় জনগণকে সেবা দিতে প্রস্তুত আছি। নবাবপুর ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দ ও জামাত-শিবিরের নেতৃবৃন্দ এবং এলাকাবাসীকে নিয়ে যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কাজ করছি। এখন পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি, আগামীতেও পরিস্থিতি ভালো রাখার জন্য সবাইকে সাথে নিয়ে কাজ করবো।