বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপি শূন্য একটি বাংলাদেশ গড়ার প্রাণান্ত চেষ্টা করেছেন শেখ হাসিনা। কিন্তু দেশের জনগণ তা হতে দেয়নি। উল্টো দেশ ছেড়ে শেখ হাসিনা পালিয়েছেন। সোমবার বিকালে নয়াপল্টনে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ৫ আগস্ট সারা ঢাকা শহরে শুধু মানুষের কাফেলা, মানুষের মিছিল ছিল। বাংলাদেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত, এক মহানগর থেকে আরেক মহানগর, জেলা সদর প্রত্যেকটি জায়গায় শুধু মানুষ আর মানুষ। একেবারে শ্রাবণের বর্ষণের মতো অবিরামভাবে ঝরছে বিভিন্ন এলাকায়। শেখ হাসিনা হেলিকপ্টারে পালিয়ে যাওয়ার সময় বুঝতে পেরেছেন, জনগণের অভ্যন্তরীণ শক্তি কী।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার আমলে দেশকে নির্যাতনের মধ্যে পতিত হতে হয়েছিল। তার যে কাজ সেই কাজ, তা করতে পারেনি। শেখ হাসিনা চেয়েছেন বিচার প্রাঙ্গণে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিচারপতি থাকতে হবে। যারা ছাত্রলীগের ক্যাডার ছিল তাদেরকে তিনি পুলিশে ঢুকিয়েছেন, তাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ দিয়েছেন। তারা শেখ হাসিনার ইচ্ছাপূরণ করার জন্য যা কিছু করার দরকার তাই করেছেন। বিএনপির বড় বড় নেতাদেরকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। বিনা দ্বিধায় সেসমস্ত কাজ করেছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। আমরা সবাই তাদের নাম জানি।
জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসানের সঞ্চালনায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন-বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপুসহ স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের এ এ জহির উদ্দিন তুহিন, সাদ মোর্শেদ পাপ্পা শিকদার, এস এম সায়েম, আব্দুল্লাহ মামুন রাসেল, মনির হোসেন মৃধাসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা।