যশোরের বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে ‘এমপক্স’ বা ‘মাঙ্কিপক্স’ প্রতিরোধে সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. মরিয়ম খন্দকার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শনিবার থেকে ৭ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম বেনাপোল চেকপোস্টে কাজ শুরু করেছেন। মরিয়ম জানান, ভারত থেকে আসা যাত্রীদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। সন্দেহভাজন যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে তাপমাত্রা। উপসর্গ নিশ্চিতে চোখ, হাত ও পা পরখ করে দেখা হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত এই জাতীয় কোন লক্ষ্মণ ইনকামিং যাত্রীদের মধ্যে দেখা যায়নি। এমপক্স ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট একটি সংক্রামক রোগ। এতে বেদনাদায়ক ফুসকুড়ি, লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়া এবং জ্বর হতে পারে। এমপক্স ভাইরাস কীভাবে ছড়ায় এই বিষয়ক একটি সতর্কবার্তা লাগানো হয়েছে ইমিগ্রেশনের গেইটে। আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক হওয়ার কথা লেখা হয়েছে সেই বার্তায়। লেখা হয়েছে,’সংক্রমিত ব্যক্তির সঙ্গে যৌন মিলনে, ব্যবহার করা কাপড়, সুই বা অনান্য জিনিসের মাধ্যমে, আক্রান্ত প্রাণী শিকার করা, কাটা বা রান্না করার সময়, কম তাপ মাত্রায় রান্না করা আক্রান্ত প্রাণীর মাংস খেলে, এমনকি গর্ভবতী মায়েদের থেকে তাদের অনাগত শিশুর কাছেও ভাইরাসটি যেতে পারে।’ করোনা মহামারির পর আরেক উদ্বেগের নাম এখন এমপক্স (মাঙ্কিপক্স)। সম্প্রতি আফ্রিকার দেশগুলোতে এর ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এরইমধ্যে কয়েক’শ মানুষের মৃত্যু হয়েছে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। পাকিস্তানেও শনাক্ত হয়েছে এই ভাইরাস। বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থাও জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিইএইচও)। এরই মধ্যে এমপক্স নিয়ে বাংলাদেশে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। যদিও এখনো দেশে কেউ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বলে শনাক্ত হয়নি। তারপরও মাঙ্কিপক্সের লক্ষণ দেখা গেলে সন্দেহভাজনদের দ্রুততম সময়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হটলাইন-১৬২৬৩ ও ১০৬৫৫ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।