ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের ভেল্লাকান্দি ও লক্ষীপুর গ্রামের একটি রাস্তার সামান্যে কাঁচা রাস্তার কারণে দুই গ্রামের মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। সড়ক উন্নয়ন না হওয়ায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য সহ মুখ থুবড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে এলাকার সার্বিক উন্নয়ন। উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের ভেল্লাকান্দি ও লক্ষীপুর গ্রামের চিত্র এমন। এই রাস্তা দিয়েই প্রতিদিন দুই গ্রামের মানুষ সহ মাগুরা ও রাজবাড়ী জেলার হাজার হাজার মানুষের চলাচল। গ্রামের মানুষের উৎপাদিত কৃষিপণ্য হাটবাজারে নিয়ে যেতে হয় এ রাস্তা দিয়ে। তাই রাস্তাটির বাকী রাস্তা টুকু ইটকরনের জন্য এলাকাবাসী স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সুদৃষ্টি কামনা করছেন। এদিকে ভেল্লাকান্দি ও লক্ষীপুর গ্রামের মাঝে যে কাঁচা রাস্তাটি রয়েছে তারও বেহাল দশা। এর কারনে এলাকাবাসীর দুর্ভোগের শেষ নেই। বৃষ্টি হলে কাঁদা পানিতে চলাচলকারী মানুষকে দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। এ কাঁচা রাস্তা সংস্কারের কোনো পদক্ষেপ না থাকায় নিয়মিত চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন এলাকাবাসী। স্থানীয়রা জানায়, বর্ষা মৌসুমে এ রাস্তার করুণ অবস্থা দেখার কেউ নেই। আশপাশের কাঁচা রাস্তাগুলো পাকাকরণ হলেও স্বাধীনতার ৫০ বছরেও পূর্ণাঙ্গভাবে এ রাস্তাটি পাকা করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। কিন্তু বর্তমানে ইটের করেও তাও আবার সামান্যে কাচা রাস্তা টুকু রয়ে গেছে নির্বাচন এলেই প্রার্থী ও রাজনৈতিক নেতারা রাস্তাটি পাকা করার প্রতিশ্রুতি দেন। নির্বাচিত হওয়ার পর পাকা করা তো দূরের কথা মেরামত করারও কোনো উদ্যোগ নেন না। এই রাস্তা দিয়েই দুই গ্রাম সহ আরো মাগুরা জেলা এবং ফরিদপুর এবং রাজবাড়ী জেলার হাজার হাজার মানুষের চলাচল। লক্ষীপুর ও লক্ষীপুর গ্রামের চলাচলের একমাত্র এই রাস্তাটি দুইপাশে ইটের এবং মাঝের কাঁচা ও কর্দমাক্ত। ফলে যানবাহন তো দূরের কথা পায়ে হাঁটাই দুষ্কর। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ডুমাইন ইউনিয়নের ভেল্লাকান্দি ও লক্ষীপুর গ্রামের সামান্যে কাঁচা রাস্তা শুষ্ক মৌসুমে ধুলাবালি আর বর্ষা মৌসুমে একটু বৃষ্টি হলেই একেবারে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। বৃষ্টির ফোটা পড়ার পরই কাদাপানিতে একাকার হয়ে যায়। কাদায় চলতে গিয়ে অনেকেই পড়ে গিয়ে গন্তব্যে যাওয়ার আগেই বাড়িতে ফিরে আসতে কাদার ভোগান্তি পোহাতে হয়। যার কারনে ডুমাইন ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম মোল্যা বলেন, বৃষ্টি হলে কাঁচা রাস্তায় কাদাপানি জমে থাকে। তখন রিকশা ও অটোরিকশা এবং ভারী যানবাহন চলতে পারে না। এমনকি হেঁটে চলাচলও কঠিন হয়ে পড়ে। তাই বাকী রাস্তা টুকু ইট করনের অতি জরুরী বলে সরকারের নিকট এলাকা বাসীর পক্ষ থেকে জোরালো দাবী জানান।