ছাত্র-জনতার আন্দোলনের তোপের মুখে বিগত ৫ তারিখ শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর ৬ তারিখ থেকে বাংলাদেশ পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের অনুপস্থিতিতে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করেছেন ছাত্র-জনতা। এতে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেন ছাত্র-জনতা, রোবার স্কাউটস, রেড ক্রিসেন্ট, আনসার বাহিনী, বিএনসিসি। ছাত্র-জনতার সমন্বয়ক হিসেবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন এএসএম শাহাদাত হোসেন। দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন সংগঠন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, প্রশাসনের কর্মকর্তা, ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএসএম শাহাদাত হোসেনসহ দায়িত্বরত সকলের খোঁজ খবর নেন ও আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।উল্লেখ থাকে যে, এএসএম শাহাদাত হোসেন বিগত দিনগুলোতে ট্রাফিকের দায়িত্বে থাকা ছাত্র-জনতার জন্য খাবারের আয়োজন, সরবরাহ ও কালেকশান করা এবং যেদিন কোন ডোনার পাওয়া যায়নি সে দিন নিজের তহবিল থেকে খাদ্যের যোগান দেওয়াসহ ট্রাফিক এর দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এএসএম শাহাদাত হোসেন বলেন, ফেনী খেজুর চত্ত্বরে যানজট নিরসনে কাজ করতে গিয়ে ছাত্র-জনতার পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠন আমাকে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে সহযোগিতা করেছে। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ফেনীর আপামর জনসাধারনের আন্তরিকতা দেখেআমি অবাক হয়েছি। দায়িত্ব পালনে অংশগ্রহনকারীদের দুপুরের খাওয়া, পানি, জুস, শুকনো খাবার, বৃষ্টির জন্য ছাতাসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের যোগানে সহযোগিতা করেছেন নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই। এই কয়েকদিন আমার সাথে আরো ছিলেন স্কাউটস এর হারুন, ফেনীর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এনাম, ছেজানুল আলম প্রিয়, নাঈম উদ্দিন নিলয়সহ আরো অনেকেই। সবাই এগিয়ে এসেছে যে যেটা পেরেছেন সহযোগিতা করেছেন। সৌদি আরবস্থ ফেনী প্রবাসী ফোরামকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই মানবতার সেবায় সবাইকে দুপুরের খাওয়ার বিতরণ করার জন্য। যানজট নিরসনে কাজ করতে গিয়ে যাদের সহযোগিতা পেয়েছি ফেনীবাসীসহ সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশ কাজে যোগদান করলে ফেনী জেলা ছাত্র-জনতার সমন্বয়ক এএসএম শাহাদাত হোসেন এর নেতৃত্বে পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। ট্রাফিক পুলিশের কাছে দায়িত্ব দিয়ে ছাত্র-জনতার দেওয়া দায়িত্ব পালন শেষ করেন তিনি।