ঢাকার ধামরাইয়ে দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিবাদ অদক্ষতার কারণে ধামরাই উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা উম্মে হাবিবা বেগম এর সেচ্ছায় পদত্যাগ ও বহিস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। রোববার (১৮আগষ্ট) বেলা ১২ টার দিকে ধামরাই পৌর শহরের ধামরাই উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সামেন তিন রাস্তার মোড়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। এই সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রধান শিক্ষিকার নিয়োগ বাতিল হয়েছে অনেক আগে। তারপরও সে ক্ষমতা দেখিয়ে স্কুলে বহাল তরিয়তে আছেন। আমরা প্রধান শিক্ষিকার নিয়োগ বাতিল হওয়ার কাগজ ইউএনও কাছে জমা দিয়েছি। প্রধান শিক্ষিকার দুর্নীতির কারণে স্কুলের শিক্ষার মান দিন দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমাদের প্রধান শিক্ষিকা ঠিকমত স্কুলের কোন তদারকি করেন না। তার উপর কেউ কোন কিছু বলতে পারে না। সে নিজেই সব কিছু করে থাকেন। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের সাথেও তিনি খারাপ আচরণ করেন। কোন ছাত্রী যদি ভাল রেজাল্ট করে তাহলে স্কুলের নিয়ম অনুযায়ী সে হাফ বেতনে পড়ার সুযোগ পাবে। এছাড়া গরীব অসহায় ছাত্রীদের হাফ বেতন অথবা বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ থাকলে ও প্রধান শিক্ষিকা এর কোন সুযোগ না দিয়ে নিজে স্কুলের টাকা দুর্নীতি করে নিজের রাজত্ব তৈরি করেছে। কোন শিক্ষক, প্রধান শিক্ষিকার উপর কথা বলতে পারে না। যদি কেউ বলে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা ভয় দেখান। যার করেণে ধামরাই বালিকা উচ্চ বিদ্যারয়ের শিক্ষার মান খুবই খারাপ। মোট কথা আমরা প্রধান শিক্ষিকার পদত্যাগ দাবি করছি। এই বিষয়ে নবম শ্রেণীর ছাত্রী রোকসানা আক্তার মীম বলেন, প্রধান শিক্ষিকার নিয়োগ বাতিল হওয়ার পরও স্কুলে থেকে দুর্নীতি করেছে। স্কুলের অবকাঠামোর নামে লক্ষ লক্ষ টাকা দুর্নীতি করে টাকার পাহার করছে আমাদের প্রধান শিক্ষিকা। এছাড়া স্কুলের বিশদ্ধ পানির কোন ব্যবস্থা তিনি করছেন না। আমরা তার পদত্যাগ দাবি করছি। অন্যথায় আমরা কঠোর কর্মসুচি দিতে ব্যধ হব। এই বিষয়ে দশম শ্রেণীর ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার বলেন, আমাদের ক্লাশের রুটিন করার কথা থাকলে ও সেটা তিনি করেন না। যদিও করেন তাহলে দেখা যায় বাংলা শিক্ষককে দেয় ইংরেজি ক্লাশ আর ইংরেজি শিক্ষককে দেয় আংক ক্লাশ এই ভাবে ক্লাশ চলতে থাকলে আমরা কিভাবে ভাল রেজাল্ট করবো। এছাড়া বছরের প্রথমে ভর্তির সাথে আমরা সেশন ফ্রি দেয় সেখানে পুজা, খেলা ধুলার জন্য টাকা দিয়ে থাকি। কিন্তু প্রধান শিক্ষক আমাদের কাছ থেকে আবার বিভিন্ন পুজা, খেলা ধুলার জন্য আবার ফ্রি নেয়। তার দুর্নীতির শেষ নেয় স্কুলে। তাই অনতি বিলম্বে তার পদত্যাগ দাবি করছি। এই বিষয়ে ধামরাই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ রবিউল আওয়াল শিক্ষার মান খারাপ স্বীকার করে বলেন, পৌরসভা থেকে আমাদের বিশদ্ধ পানি ব্যবস্থা করে দিয়েছে। তবে টাঙ্কি পরিস্কার করা হয় না ঠিকমত। তবে অন্য স্কুলের চাইতে আমাদের স্কুলের শিক্ষার মান একটু খারাপ। তবে আমরা সেশন ফ্রি নেওয়ার পর আর কোন চাঁদা নেয় না। আমাদের শিক্ষার মান দ্রুত ভাল হয়ে যাবে। এই বিষয়ে ধামরাই উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহীনা আশরাফি বলেন, আমি স্কুলে গিয়ে দেখি স্কুলের সকল ছাত্রীরা রাস্তায় বসে প্রধান শিক্ষিকার পদত্যাগ করে বিক্ষোভ করছে। আমি জানতে চাইলাম প্রধান শিক্ষকার পদত্যাগ চাওয়ার কারণ চাইলে শিক্ষার্থীরা যুক্তিক কোন কারণ দেখাতে পারে নাই। তবে আমার মনে হয়েছে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের রাস্তায় নামিয়ে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ চাইছে।