গণমাধ্যমসহ পরিবেশবাদী সংগঠন সরাইল উপজেলা আইন শৃংখলা কমিটির সভায় একাধিক বার সরকারি খাল উদ্ধারে আলোচনায় হলেও আবার নতুন করে খাল ভরাটের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি আইন-শৃঙ্খলা মাসিক সভায় সরাইল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শের আলম তিনি তার বক্তব্যে খাল উদ্ধারের ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রতিবেদন করার জন্য অনুরোধ করেছেন। শুধু অরুয়াইলের দখল নিয়ে নয়। সকল এলাকার দখন নিয়ে আপনারা লেখবেন। সরকারি খাল যারা দখল করেছে।পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা বন্ধ করেছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দাবি জানান। সরাইলের প্রধান খালের পরিচয় অনেকেই এভাবে বলে সরাইলের মুখে মুখে যে আমরা একটু ভরাট করেছি সেই খালটি নাকি। গতকাল খালের পারের এক ব্যক্তি বলে আমরা খালে একটু গেলে সবাই বলে আমরা নাকি খাল দখল করেছি। এখন এলাকাবাসী মুখে মুখে আমরা সরাইলের খাল দখল করেছি। খাল দখলকারী ব্যক্তি বলেন, সাংবাদিকরা আমি একটু খালের উপর কোন কাজ করলে তারা রিপোর্ট করে। ইউএনও এ্যাসিলেন্ড বা ভৃমি অফিসের লোকজন এসে কাজ বন্ধ করে বা নানা ভাবে আইনী কথা বলে। আমার সময় আমরার খালে যেতে পারব না। অন্য লোকেরা এসে এখন খালের বুকে মাটি দিচ্ছি তোমাদের চোখে পড়ে না। আমি জানি প্রশাসন কিছু বলবে না কারণ পিছনের বড় ব্যক্তির হাত আছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, ভাই সরাইলে’র প্রধান বা উপজেলার প্রবেশপথের খাল হলেও। দখল হইতে হইতে এটার এমন অবস্থা হয়েছে। কালের সাথে নাম পরিবর্তন হয়ে “এখন আমরা খাল দখল করেছি” তিনি বলেন, সবার চোখের সামনে দখল হচ্ছে তার কোন প্রতিকার যখন নেই, তখন আমরা বলি এই খালের নাম আমরা দখল করেছি?এই সরকারি খালটি দখল হওয়ার কারণে সরাইল সদরের চার-পাঁচটি গ্রামের মানুষ পানি বন্দী হয় একটু বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা প্রধান সড়কে হাঁটু পানি লাগে।বৃষ্টিতে অন্নদার মোড়ে, বড্ডাপাড়া মাদ্রাসা মাঠ, গরু বাজার সহপানি নিষ্কাশন না থাকায় হাঁটু পানি হলে পথচারীরা অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।আপনার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, আমাদের দখলকৃত খালটি উদ্ধার হবে কবে? মো. জুহিরুল ইসলাম জানান,ছোট বেলায় নৌকা দিয়ে জয়ধরকান্দী থেকে খাল দিয়ে সরাসরি সরাইল বাজারে আসতাম,এমনকি নৌকা দিয়ে কুট্টাপাড়া খেলার মাঠের কিনারে আসছিলাম চাচাতো ভাইয়ের বিয়েতে।এখন কেবল স্মৃতি এগুলো। আলাল উদ্দিন জুরু জানান,আজ ১৫ বছর হলো এ-ই দাবি করছি কিন্তু কেউ আমার দাবির কথা শুনে না তাই এখন চুপ হয়ে গেছি যদি আল্লাহর তরপ থেকে কিছু আসে সেই অপেক্ষা রইলাম।লোহ মানবের যখন পতন হয়েছে তখন বুঝতে পারতেছি সরাইলের খাল উদ্ধার হবে ইনশাআল্লাহ।আফসার খান শুভ জানান,নালা খাল গুলো অতিরিক্ত দখল হয়েছে সরাইলের প্রতিটি গ্রামে গ্রামে।মো.শফিকুল আলম জানান,ভূমি ডাকাতদের হাত থেকে সরকারি খাল/জমি উদ্ধার করা উচিত।এই ব্যাপারে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.মেজবা উল আলম ভূইঁয়া এ প্রতিনিধিকে বলেন,সরকারি খাল কেউ দখল করতে পারবে না। সরকারি খাল দখল বা নির্মাণ কাজ করে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এদিকে সরাইল উপজেলার বেপারী পাড়া, নাথ পাড়া খাল, সুর্ষকান্দী গ্রামের খালসহ চুন্টা ইউনিয়নের একাধিক খাল দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারি খাল উদ্ধারে সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকের প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।