ঢাকার ধামরাইয়ে নিখোঁজের দুইদিন পর ডোবায় পাওয়া গেলো কামরুল হাসান (২৩) নামে এক পুলিশ সদস্যের বস্তাবন্দি মরদেহ, পরে সেই মরদেহ উদ্ধার করেছে ধামরাই থানা পুলিশ। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সকালে সোমভাগ ইউনিয়নের কংশপট্টি গ্রামের মৃত রুস্তম আলী’র ছেলে কামরুল হাসান নামে ওই পুলিশ সদস্যের বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি এপিবিএন- ১ ঢাকায় কর্মরত ছিলেন।এ ঘটনায় নিহত পুলিশ সদস্যের স্ত্রী নারগিস আক্তারকে আটক করেছে ধামরাই থানা পুলিশ। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, পারিবারিক ভাবে গত বছর পাশের গ্রামের লাবু মিয়ার মেয়ে নার্গিস আক্তার (২২) কে বিয়ে করেন কামরুল। বিয়ের পর থেকেই কামরুল ও নার্গিসের মধ্যে বিভিন্ন কারণে সন্দেহের ডানা বাঁধতে থাকে। এতেই পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। তবে এটা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড নাকি অন্য কিছু তা খতিয়ে দেখতে নিহত কামরুলের স্ত্রী নার্গিসকে আটক করেন ধামরাই থানা পুলিশ। নিহত কামরুল হাসানের স্ত্রী নার্গিস আক্তার বলেন, মুখে মাস্ক পড়া দুইজন কামরুলকে খুন করেছে। এই কথা প্রকাশ করলে তারা আমার পরিবার ও শ্বশুর বাড়ির বড় ধরনের ক্ষতি করবে বলে হুমকি দেয়। এ বিষয়ে ধামরাই থানার উপ- পরিদর্শক ( এস আই) নাসির বলেন, এ ঘটনায় সন্দেহভাজন স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে এবং নিহত পুলিশ সদস্যের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।এবিষয় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।