লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার গণপিটুনিতে যুবলীগ-ছাত্রলীগের ৭ নেতাকর্মী নিহতের ঘটনায় মামলা করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিন ফারুক মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বুধবার রাতে সদর থানার এসআই এমদাদ হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে নিহতরা হলেন- ইউপি সদস্য যুবলীগ নেতা হারুনুর রশিদ, ছাত্রলীগ নেতা তাওহিদ কবির রাফি, রাকিবুল হাসান সিফাত, ইউছুফ, যুবলীগ নেতা আহমেদ শরীফ, তানজীদ হায়দার রিয়াজ ও সুজন প্রমুখ।
সদর মডেল থানার ওসি ইয়াছিন ফারুক মজুমদার বলেন, ৪ আগস্ট আন্দোলনকারীদের ওপর অতর্কিত হামলা ও নির্বিচারে গুলি চালানোর পর বিক্ষুব্ধ জনতার গণপিটুনিতে ৭ জন নিহত হন। তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ মামলা করেনি। এতে পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
প্রসঙ্গত, ৪ আগস্ট শহরের মাদামব্রিজ ও ঝুমুর এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করে। সেখানে অভিযুক্তদের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আফনান পাটওয়ারী নামে এক শিক্ষার্থী মারা যান। এরপর আন্দোলনকারীরা বাজারের তমিজ মার্কেট এলাকায় আসলে সাবেক পৌর মেয়র প্রয়াত আবু তাহেরের বাসার ছাদ থেকে চেয়ারম্যান টিপুর নেতৃত্বে প্রায় আড়াই ঘণ্টাব্যাপী গুলিবর্ষণ করা হয় বলে জানায় স্থানীয়রা (যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়)। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে কাউছার আহমেদ বিজয়, ওসমান গণি ও সাব্বির আহমেদ নামে আরও ৩ জন মারা যায়। এ সময় গুলিতে শতাধিক ছাত্র-জনতা গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়।
একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা মেয়র তাহের ও টিপুর বাসভবন আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। টিপুসহ তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন পালিয়ে যায়। বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে গণপিটুনিতে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ৭ জন মারা যান। পরদিন টিপুর বাসভবন থেকে যুবকের অগ্নিদগ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।