বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রজন্ম একাডেমির’ উদ্যোগে ‘খুনী হাসিনা ও তাদের দোসরদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে’ আয়োজিত নাগরিক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে কালাম ফয়েজী বলেন, অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস যতদিন ইচ্ছা ততদিন ক্ষমতায় থাকবেন। কারণ তিনিই হচ্ছেন একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তি যিনি দেশের স্বার্থে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে পারেন। তিনি দেশে সুবিচার প্রতিষ্ঠা করবেন এবং প্রশাসনের সকল স্তর থেকে দুর্নীতির মূলোৎপাটন করবেন। প্রফেসর ইউনূস বিশ^ ব্যক্তিত্ব। তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করায় আমাদের দেশের মর্যাদা আকাশচুম্বী হয়েছে। তিনি ভারতকে ধমক দিয়ে যে কথা বলেছেন দেশের মানুষ তাতে ভীষণভাবে উজ্জীবিত হয়েছে এবং একমাত্র তাঁর পক্ষেই দেশের স্বার্থে এমন কথা বলা সম্ভব হয়েছে। তিনি তাকে একটি দল গঠনের আহ্বান জানান। কারণ বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী ঘরানার আরেকটি রাজনৈতিক গঠন এখন সময়ের দাবি। যাতে এই দলটি আগামীদিনে দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সহ সভাপতির বক্তব্যে জহিরুল ইসলাম কলিম বলেন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। যুবনেতা নবী হোসেন বলেন, কোথায় হাসিনার দম্ভ- কোথায় দরবেশের দম্ভ? তিনি এখন দাঁড়ি কেটে ভিখারীর মত পালিয়েও বাঁচতে পারেননি। তিনি বাঁচতে পারবেন না, দুর্নীতিবাজ ও তাদের দোসররা কেউই বাঁচতে পারবেন না। এখান থেকে রাজনীতিবিদদের শিক্ষা নিতে হবে। দুর্নীতি করে কেউ পার পাবে না। মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রজন্ম একাডেমির মহাসচিব সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন শাহীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর আহমেদ, তাঁতী দল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ড. কাজী মনির, ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি এম.এ হাশেম রাজু, ছাত্রদলের কুষ্টিয়া বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি এস.এম মিজানুর রহমান, প্রজন্ম একাডেমির সহ সভাপতি আলহাজ্ব মো. জহুরুল ইসলাম কলিম, কোষাধ্যক্ষ আবু হায়দার, কেন্দ্রীয় নেতা নবী হোসেন, প্রচার সম্পাদক ওয়াসিম সিদ্দিকী, মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন, প্রজন্মের কেন্দ্রীয় নেতা মাকসুুদুর রহমান মালতিয়া, শারমিন রিনা, শফিক সেলিম প্রমুখ।