বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) এ তথ্য জানান বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
শায়রুল বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গুলশানের বাসভবনে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রধান নিরাপত্তা সমন্বয়কারী কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ইসহাক মিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নিরাপত্তা কাজ শুরু করে পুলিশ।
এর আগে গত ১৩ আগস্ট বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পুলিশি নিরাপত্তা দেয়ার আদেশ দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে পুলিশ মহাপরিদর্শকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়ে ছিল।
চিঠিতে বলা হয়, বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে গুলশানের বাসভবনে অবস্থানকালীন ও চলাচলের ক্ষেত্রে পুলিশ স্কট বরাদ্দসহ যথোপযুক্ত সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করা হলো।
দুই মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া কারাবন্দি ছিলেন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায় ঘোষণার পর খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। এরপর ওই বছরের ৩০ অক্টোবর এ মামলায় আপিলে তার আরো পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট।
একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন একই আদালত। রায়ে সাত বছরের কারাদণ্ড ছাড়াও খালেদা জিয়াকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারি শুরু হলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত করে কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে সরকার শর্তসাপেক্ষে ২৫ মার্চ থেকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়। এরপর পরিবারের আবেদনে দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ বেড়েছে আটবার।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর পরপরই মন্ত্রিসভা ও সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতির আদেশে মুক্তি পান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।