বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৪ দফার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন করে অবিলম্বে দাবি সমূহ পূরণে অন্তর্র্বতীকালী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও নিহত পরিবার কল্যাণ পরিষদের আহ্বায়ক হারুনূর রশিদ। গতকাল বুধবার সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি ছাত্রদের ৪ দফার পাশাপাশি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও নিহত পরিবার কল্যাণ পরিষদের ১১ দফা বাস্তবায়নের দাবি জানান। একই সাথে তিনি ১১ দফা দাবি নিয়ে আগামী ১৮ আগস্ট (রোববার) সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনের ঘোষণা দেন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও নিহত পরিবার কল্যাণ পরিষদের ১১ দফা হলো:
১) প্রাকপ্রাথমিক থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত সকল ছাত্র—ছাত্রীদের ফুডকার্ড (ঋড়ড়ফ-ঈধৎফ) বয়সভিত্তিক আনুমানিক কমবেশি ২,০০০—৩,০০০/ (দুই/তিন হাজার) টাকা মাসিক অনুদান।
২) চাকরি প্রত্যাশীদের কম বেশি বেকার ভাতা ৩,০০০/ (তিন হাজার) টাকা প্রদান ।
৩) বৈষম্য—বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের সেনা তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা ও নিহতদের সঠিক তথ্য অনুসন্ধানে সশস্ত্র বাহিনী ও শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা এবং ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে দ্রুত পুনর্বাসন করা।
৪) বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সরাসরি সরকারি শিক্ষাবৃত্তি প্রদান।
৫) পিলখানা শহীদ সেনা কর্মকর্তাসহ অদ্যবধি বিভিন্ন আন্দোলন ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদের স্মরণে শেখ হাসিনা পরিবারের বিভিন্ন ব্যক্তির নামে স্থাপিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে উক্ত শহীদদের নামে নামকরণ।
৬) জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন সমাপনকারী দল নিরপেক্ষ সাবেক সেনা ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের চলমান আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়ন ও নিরাপত্তা রক্ষায় তাদেরকে জরুরী ভিত্তিতে অন্তর্ভুক্ত করা এবং তাদের সহযোগী হিসেবে বিএনসিসি ও বাংলাদেশ স্কাউটসকে অন্তর্ভুক্ত করা।
৭) বিগত দিনে আন্দোলনে ব্যবহৃত সকল অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া।
৮) গ্রামীন সামাজিক অর্থনীতি দ্রুত বিকাশে বন্ধ হয়ে যাওয়া স্থানীয় সামাজিক সংগঠনগুলোকে সক্রিয় হতে রাষ্ট্রীয় ভাবে উৎসাহিত করা।
৯) বিগত সরকারের আমলে সৎ ও দক্ষ সকল শ্রেণির কর্মকর্তা—কর্মচারীগণ, যারা জুলুম ও বৈষম্যের শিকার হয়ে প্রমোশন বঞ্চিত/বাধ্যতামূলক অবসর গ্রহণকারীদের পুনরায় পদায়ন এবং ফ্যাসিবাদের সহযোগীদের বরখাস্ত করা।
১০) বৃহৎ ঋণ খেলাপীদের অর্থ ও বিদেশে পাচারকৃত সকল অর্থ দ্রুত ফিরিয়ে আনা এবং বৃহৎ ঋণ খেলাপি ও অর্থ পাচারকারীদের সামরিক আদালতে দ্রুত বিচার করা।
১১) কোটা বিরোধী আন্দোলনের সক্রিয় শিক্ষার্থী পরিবার, আহত পরিবার ও নিহত পরিবার হতে সমন্বিতভাবে অন্তত ১ জন কে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারে অন্তর্ভুক্ত করা।