নারায়ণগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মনিটরিং টীমের অভিযান অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে পরিচালিত হচ্ছে। ১৩ আগষ্ট মঙ্গলবার সকাল থেকেই টীমটি দেশের ভোজ্য মালামালের জন্য বিখ্যাত শহরের নিতাইগঞ্জ এলাকায় গিয়ে এ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় টীমে থাকা চৌকশ শিক্ষার্থীরা নিতাইগঞ্জের চাল,ডাল,তেল,আটা-ময়দাসহ বিভিন্ন ভোজ্যপণ্যের দরদাম যাচাই-বাছাই করেন। মনিটরিংকালে ডালের মূল্য নিয়ে কিছুটা সন্দিহান দেখা দিলেও ডাল মিল মালিক সমিতির সভাপতি ছাত্রদের কাছে তাদের অবধারিত সমস্যার কথা তুলে ধরেন। উৎপাদন থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে এসব পণ্যের দাম আমদানীতে খরচ বেশি পড়ে যায় এবং আর্থিক দৈন্যতার কারণে বেশ কয়েকটি মিল-কারখানা বন্ধ থাকায় তাদেরকে ক্রয়সীমার মধ্যে এসব ভোজ্যপণ্য বিক্রি করা হচ্ছে বলে ছাত্রদেরকে অবহিত করেন। একই সাথে তারা নিশ্চিত করেন নিতাইগঞ্জ বাজার এলাকায় এসবের কোন সিন্ডিকেট নেই। মঙ্গলবার নিতাইগঞ্জ ভোজ্যপণ্যের বাজার মনিটরিংয়ে নারায়ণগঞ্জ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন ঢাকা ইউনিভিার্সিটির সামি, ঢাকা সিটি কলেজের নিহাল,ইখতিয়ার,ফাহিম, জাহিদুল,খুলনা ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজী’র দীপ্ত,নর্থ-সাউথ ইউনিভিার্সিটির তাহমিদ,হবিগঞ্জ মেডিকেলের আলিফ,নারায়ণগঞ্জ কলেজের মাহমুদ,সাফাত,নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম কলেজের প্রিয়,তায়েব,নিবাল,রিদু,সোনারগাঁ ইউনিভার্সিটির মোজাম্মেল,সুহৃদ,ইয়াশা প্রমুখ। এ ব্যাপারে মনিটরিং টীমের জনৈক সদস্য গণমাধ্যমকে জানান,চাল,ডালের মিল মালিকরা নিজেদের দুর্দশার অযুহাত দেখিয়ে পণ্যের দাম কিছুটা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে মনিটরিং টীমকে জানায়। আবার কিছু কিছু মিল বন্ধ থাকার কারণে দাম চড়া হওয়ার কথাও বললেন। কিন্তু তারা মিল বন্ধ,উৎপাদন,আমদানী কম ইত্যাদি দেখিয়ে আমাদের দায়সারাভাবে বুঝালেও আমরা তা মানতে নারাজ। আমরাও গোপনে এর খোঁজ নিবো।