মিটার না দেখেই প্রতিনিয়ত গ্রাহকদের ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে বিদ্যুৎ বিল। ফলে ব্যবহৃত ইউনিটের চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হচ্ছে।এমন ভুতুড়ে বিলের অভিযোগ এখন সরাইলের অধিকাংশ মানুষের। মিটার রিডিং না দেখেই বিদ্যুৎ বিল করা ও সময় মত বিল না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সরাইল উপজেলা বিদ্যুৎ গ্রাহকরা।সরাইল বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে সাধারণ গ্রাহকরা। প্রতি মাসে বাড়ি বাড়ি যেয়ে মিটার রিডিং না নেওয়া ও সময়মত বিদ্যুৎ বিল বাড়িতে পৌঁছে না দেওয়া টা তাদের নিয়মে পরিনত হয়েছে।গ্রাহকরা বলছেন, কয়েক মাস ধরে চলছে এ অবস্থা।অভিযোগ করেও প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। এই নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে আলোচনার ঝড় উঠেছে।একজন বিদ্যুৎ গ্রাহক মোবারক বলেন, মিটার রিডাররা প্রতিমাসে না এসে মাঝে মাঝে আসে।সব সময় তারা অনুমান নির্ভর বিল করে থাকে। এতে প্রকৃত বিল আমরা দিতে পারি না।বিশেষ বিশেষ সময় মিটার দেখে রিডিং নিয়ে আমাদের উপর বাড়তি বিলের বোঝা চাপিয়ে দেয়।অনুমান নির্ভর বিদ্যুৎ বিল হলেও, এত টাকার বিল তো হওয়ার কথা নয়। আর তারা অনুমান নির্ভর বিল দেবেই বা কেন? একটি বিল দেখেই বলেন, বর্তমানে মিটার- ১৫০২২ ইউনিট আছে বিল করেছে-১৭২২২ এমন অভিযোগ অনেক গ্রাহকের।বিদ্যুৎ বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা ও মিটার রিডারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাধারণত বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর মিটার রিডাররা বাসায় বাসায় গিয়ে মিটারের বর্তমান রিডিং নিয়ে আসেন। সেই রিডিং থেকে আগের মাসের প্রাপ্ত রিডিং বাদ দিলেই এই মাসের ব্যবহৃত বিদ্যুতের হিসাব পাওয়া যায়। সেগুলো বিভিন্ন স্ল্যাব অনুযায়ী হিসাব করে বিদ্যুৎ ব্যবহারের বিল করা হয়। মিটার রিডিং না দেখেই বিদ্যুৎ বিল করার অভিযোগ উঠেছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গ্রাহকরা। সরাইল সদরের রাবিয়া বেগম বলেন, এদের পলিসিটা হলো এরা দু-চার মাস প্রকৃত বিলের চাইতে ইউনিট কম লেখে।বিশেষ করে জুন ও ডিসেম্বর মাসে প্রকৃত ইউনিট দিয়ে বিল করে তাতে এদের লাভ হচ্ছে বেশি ইউনিটে রেট বেশি পাওয়া যায়। আমরা জনগন আমাদের কিছু করার থাকে না। এ যেন শরতবাবুর শুভঙ্করের ফাঁকি।একই কথা বলেন রুনি মিয়া।তিনি বলেন,আমিও গত মাসের বিলের কাগজ পায়নি। মোবাইল ফোনে ম্যাসেজ দেখে বিল দিলাম। এখনও এমাসের বিলের কাগজ পায়নি।নিজ সরাইল গ্রামের বিল্লাল মিয়া বলেন,এত টাকা বিল করছে , এক মাসের কারেন্ট বিল চার হাজার পাচ শাত টাকা কিভাবে দিব।মো. আজিজুল ইসলাম জানান, গতকাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সরকারি কোয়াটারে এক বাসার বিল ৫৬ টাকা আর এক বাসার বিল ৩০০০ টাকা। এই ভূতুড়ে বিল এর প্রতিকার চাই। মো. জাকির হোসেন জানান, আমার এক মাসে ২০০ টকা বিল করে পরের মাসে ৬০০০ বিল করেছে। মানে ৩০০ ইউনিটের বেশী হলে ১২ টাকা করে প্রতি ইউনিট এতে আমার কত টাকা লস হল। মো. রকিব খান জানান,ওরা ঠিকভাবে মিটারই দেখে না ভাই উনাদের মন চায়লে পাঁচ মাস ছয় মাস পরে একবার গিয়ে মিটার দেখে আসে সরাইল বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ (বিউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুর রউফ এর কাছে জানাতে চাইলে তিনি গ্রাহকের অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, বিদ্যুৎ বিল রিডিং যারা করেন তারা বাড়ি বাড়ি গিয়েই তো বিল রিডিং করবে।তারা কেন অফিসে বসে বিল রিডিং করবে।এটা কোন সমস্যা না দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে। আমাদের বিল রিডার নাই। যারা রিড়ারের কাজ করে অনেক সময় বাড়ি খুজে পাইনা এজন্য হয়তো দেরি হয়ে গেছে। তবে সব কিছু দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে।