টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার বাণিজ্যিক এলাকা করটিয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক লন্ডন প্রবাসীর ব্রিটিশ নাগরিক (যাহার পাসপোর্ট নং-১৪৪৩০৯১৭৪) তিন তলা বাসায় হামলা,ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পঞ্চাশ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এদিকে ওই ঘটনা শান্ত করার লক্ষে হামলাকারীদের বাঁধা দিতে গিয়ে ৩ জন আহত হয়েছে। আহতরা টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে আট টার দিকে করটিয়া বেপারীপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ওই বাসার মালিক সোহরাব মিঞা জানান, মঙ্গলবার মাগরিবের নামাজের পরে মাসলা নিয়ে ইমাম সাহেবের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। সেই সুযোগে পুর্বে জমি সংক্রান্ত বিরোধ থাকায় প্রতিবেশী হাফিজ উদ্দিন,মোহাম্মদের ছেলে ছোট সাব্বির, রহমতের ছেলে মেরাজ ,কাউছার ও পারভেজসহ স্থানীয় ২০-২৫ জন মিলে তার বাসায় সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে লুটপাট চালায়। এসয় তার নিকট আত্মীয়রা বাঁধা দিলে তাদের কুপিয়ে আহত করে এবং বাসার ভাড়াটিয়াদের ও আত্মীয়দের মোট ৭টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। পরে খবর পেয়ে সেনা বাহিনী আসলে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। তিনি জানান, হামলাকারীরা টাঙ্গাইল শহরের আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী সাবেক এমপির লালিত ক্যাডার। তার বাসায় সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে তারা বাসা ভাঙচুরসহ ভাড়াটিয়াদের ৩ ভড়ি সোনা ও ৫ লক্ষ টাকা জোর বলে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এছাড়াও বাসা ও ৭টি দামি মোটরসাইকেল ভাঙচুর প্রায় পঞ্চাশ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি করেছে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমল থেকে হামলাকারীরা এই এলাকায় বিভিন্নজন কে মারপিটসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। প্রভাবশালী তাদের ভয়ে এলাকায় কেউ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সাহস পায়না। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তিনি। এ ঘটনার পর থেকে তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে জানায়। বাসার এক ভাড়াটিয়া জানান, সন্তানদের পড়ালেখার জন্য তারা ওই বাসায় বাড়া থাকতেন। মালিকের সাথে দ্বন্দ্ব নিয়ে তাদের বাসার টিভি, ফ্রিজ, আলমারীসহ দামি সব আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এসময় কোমলমতী শিশুরা আতঙ্কিত হয়ে পরেছে। রাতে তারা ঘুমের ঘরে চিৎকার করে উঠে। বাসার অপর ভাড়াটিয়া জানান, তিনি অফিস শেষে সবে মাত্র বাসায় এসেছেন এরই মধ্যে বিশ-পচিশজন লোক রাম দা, কিরিচ, লোহার রড নিয়ে এসে অতর্কিত হামলা চালায়। কিছু বুজে উঠার আগেই তার রুমের সকল জিনিষপত্র ভেঙে চুরমার করে ফেলে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছিুক একাধিক ব্যাক্তি জানান, হামলাকারীরা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এক নেতার ছত্র-ছোয়ায় থাকতো। এমন ঘটনা তারা প্রায়ই এ এলাকায় ঘটায়,নেতার ক্ষমতায় তাদের কেউ কিছু বলতে সাহস পেতো না। এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তারা। হামলাকারীদের সাথে যোগাযোগের চেষ্ঠা করলে তাদের পাওয়া যায়নি এবং বাসার মালিক জানায় দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে থানার কার্যক্রম স্বাভাবিক না থাকায় মামলা দায়ের করতে বিলম্ব হচ্ছে।