জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের মাহমুদপুর বাজারে সরকারি ভিপি জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় দোকান পাটে হামলা ভাংচুর, লুটপাট ও অবৈধভাবে জবর দখল করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৫ আগষ্ট রাতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষ একদল সন্ত্রাসী মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর বাজারে হোটেলে সোনার বাংলা ও মুয়াজ মেডিকেল হলে ভাংচুর, লুটপাট ও অবৈধভাবে দোকান ২টি দখল করে। এতে ওই ২দোকান মালিকের কয়েক লাখ টাকার ক্ষয় ক্ষতি সহ নিঃস্ব হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। দখলদারদের হুমকি ধামকী তে দোকানের আশেপাশে যেতে ভয় পাচ্ছে। তবে দুই ভূক্তাভোগী ব্যবসায়ী বিচারের আশায় প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তারা। গত শনিবার বিকালে সরে জমিনে ঘুরে জানা গেছে মাহমুদপুর বাজারে হোটেল ব্যবসায়ী মোঃ নাজমুল ইসলাম জানান, আমি দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ এই বাজারে হোটেলের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি আমিসহ আমার হোটেলের ১৭ জন কর্মচারী রয়েছে। হোটেলের ব্যবসা করে আমি আমার পরিবার ও কর্মচারীদের পরিবারের ভরণপোষণ করে থাকি।বর্তমানে আমরা ১৭ জন লোক খেয়ে, না খেয়ে পরিবারের সকলকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। অনেক কর্মচারী হাও মাও করে কেঁদে উঠে। তারা বলেন, আমাদের হোটেল সোনার বাংলায়,হামলা,লুটপাট ও ভাংচুর করে জবরদখল করে রেখেছে আমার প্রতিপক্ষ খোরশেদ আলম পিতামৃত সাূদেক আলী,গ্রাম খাসিমারা,খোরশেদের ছেলে রাশেদুল। এছাড়াও চর মাহমুদপুর গ্রামের বাসিন্দা জহুরুল পিতামৃত গহের শেখ, ওয়ারেছ পিতা দুলাল, রাশেদুল পিতা ফজলসহ অজ্ঞাত ৩০/ ৪০ জনের মত ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত হয়ে হামলা চালিয়ে তাদের হোটেল ভাংচুর করে আসবাবপত্র লুট, খাদ্য সামগ্রী নষ্ট করে রাস্তায় ফেলে দেয় এবং হোটেল এর সাথে থাকা গোডাউন এ জমাকৃত পন্যসামগ্রী লইয়া যায়। এ সময় ক্যাশ বাক্সে থাকা অনুমনিক দেড় লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। অপর দিকে ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ আল ফারুক মোয়াজ মেডিকেল হলের মালিক জানান, একই সময় আমার দোকানে হামলা চালায় আমার প্রতিপক্ষ মোঃ ভাজন শেখ, পিতা মৃত ইয়াসিন সেখ ও তার ছেলে নাজমুল ইসলাম হুদা,মোঃ রিপন ইসলাম টিয়া,মোঃ জোসনাসহ আরো অজ্ঞাতনামা ৪০ জনের মত তারা দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত হয়ে হামলা চালিয়ে ঔষধ লুটপাট করে এ সময় আমার ক্যাশ বাক্সে থাকা নগদ ৯৫,৭০৫ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং আমাকে দোকান থেকে বের করে দিয়ে আসামিগণ ঘর বেদখল করিয়া লয়। দুই ব্যবসায়ী জানান, আমি আপনার মাধ্যমে দেশবাসী ও প্রশাসনের কাছে সুদৃষ্টি কামনা করছি অতি জরুরি ভিত্তিতে আমাদের দোকান পাট লুটপাট কারীদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচার দাবির পাশাপাশি আমাদের দোকানকে অবৈধভাবে জবর দখলদার বাহিনীর হাত থেকে উদ্ধার করে দিতে বর্তমানে জাতির শেষ আশাভরসা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। আপর দিকে প্রতিপক্ষ অভিযোগকারী মোঃ ভাজন শেখ ও খোরশেদ হামলার কথা অস্বীকার করে বলেন সেদিন আমরা ঘটনার সাথে জড়িত নয়। তবে আমাদের দোকান পাট ভাড়া নিয়ে তারা ব্যবসা করতো বর্তমানে দোকান পাটে হামলা ভাংচুর হওয়ায় এখন থেকে দোকানে আমরা দোকানে তালা দিয়ে রাখছি। আমরা হামলার সাথে জড়িত না।