লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা সীমান্তে আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে গুজব ছড়িয়ে সীমান্তে জড়ো করার অভিযোগ উঠেছে। গোপন ক্ষুদে বার্তা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কৌশলে ভারতীয় নেতারা সীমান্তে এসে হিন্দুদের সঙ্গে কথা বলবেন এবং ভারতে নেয়ার ব্যবস্থা করবেন এমন গুজব ছড়িয়ে দেয়া হয়। গত শুক্রবার বিকেলে হাতীবান্ধা উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নের উত্তর গোতামারী সীমান্তে শত শত হিন্দু ধর্মালম্বীরা বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসেন। অভিযোগ উঠেছে, ওই এলাকায় হাতিবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান হোসেন বাচ্চুর শ্বশুর বাড়ি। সরকার পতনের দিন থেকে তিনি ওই এলাকায় রয়েছেন। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায় নির্যাতনের শিকার হচ্ছে এমন খবর নজরে নিয়ে আসার কৌশল হিসেবে তিনি গুজব ছড়িয়ে সীমান্তে হিন্দু সম্প্রদয়ের লোকজনকে জড়ো করেছেন। এছাড়াও ওই এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের ওপর হামলা হচ্ছে এমন দাবী তুলে বৃহস্পতিবার তার লোকজন দিয়ে তিনি মানববন্ধনেরও চেষ্টা করেন। পরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ ও পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলামসহ বিএনপি-জামায়াতের স্থানীয় নেতারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। গোতামারী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মিয়া জানান, দলে দলে লোকজন সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার দিকে যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান- ভারতীয় নেতারা কাঁটাতারের বেড়ার কাছে এসেছে বাংলাদেশি নির্যাতিত হিন্দুদের সঙ্গে কথা বলবেন। সে কারণে তারা এসেছেন কিন্তু ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি পুরোটা গুজব। ভারতীয় বিএসএফ ছাড়া কেউ ছিল না সেখানে। প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, ফেসবুকের মাধ্যমে অনেকেই জানতে পেরেছেন এই সীমান্তে ভারতীয় নেতারা সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার কাছে আসবেন বাংলাদেশে নির্যাতিত হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের সঙ্গে কথা বলবেন। তাই তারা এসেছেন। লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ জানান, তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা নির্দিষ্ট করে তাদের অভিযোগ বলতে পারেনি। কিন্তু বলছেন, তারা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। পরে তাদের বুঝিয়ে বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।