আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে মেট্রোরেল চালু করার প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক। তবে, ভাঙচুরে ক্ষতিগ্রস্ত কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ স্টেশন বন্ধ থাকবে।
রোববার (১১ আগস্ট) তিনি সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
এম এ এন সিদ্দিক জানান, শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় দুটি স্টেশনে ভাঙচুর করা হয়। সেগুলো বাদ দিয়ে আগামী সাত দিনের মধ্যে মেট্রোরেল পুনরায় চালুর জন্য প্রস্তুত করা হবে। প্রযুক্তিগত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে এবং আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে মেট্রোরেলের ট্রায়াল রান করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ স্টেশনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ দুই স্টেশনের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য গঠিত কমিটি প্রযুক্তিগত বিষয়ে এখনো প্রতিবেদন জমা দেয়নি। আমরা আশা করছি কমিটি শিগগিরই প্রতিবেদন জমা দেবে এবং আমরা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব। আপাতত ওই দুই স্টেশন বাদ দিয়ে কার্যক্রম চলবে।
গত ২৩ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে দেশের প্রথম বিদ্যুৎচালিত দ্রুতগতির গণপরিবহন মেট্রোরেল। ফলে দেড় বছরের বেশি সময় ধরে চালু হওয়া এই বাহনে যারা যাতায়াতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন, তারা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। সবার একটাই প্রশ্ন, কবে চালু হবে মেট্রোরেল?
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির মধ্যে গত ১৮ জুলাই মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকায় মেট্রো লাইনের নিচের পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। সেই আগুনের মধ্য দিয়েই ট্রেন ছুটে যায়। পরে জননিরাপত্তার স্বার্থে ওই দিন বিকেল সাড়ে ৫টার পর মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পরদিন ১৯ জুলাই সন্ধ্যায় মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা। তারা টিকিট ভেন্ডিং মেশিন, মূল স্টেশনে যাত্রী প্রবেশের পাঞ্চ মেশিনসহ সব কিছু ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। ওইদিন পল্লবী ও মিরপুর-১১ নম্বর স্টেশনেও হামলা হয়।
২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর মেট্রোরেলের উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশ পর্যন্ত সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এরপর ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর চালু করা হয় আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশ। উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু হওয়ার পর প্রতিদিন প্রায় তিন লাখ যাত্রী যাতায়াত করতেন।