নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেডকে দালাল মুক্ত ও চাকরির ক্ষেত্রে নারী-পুরুশের বৈষম্য দূর করার দাবিতে অন্দোলন করেছে চাকরি প্রত্যাশীরা। এসময় চাকরি প্রত্যাশীরা ইপিজেডের ভেতরে প্রবেশ করলে একটি প্রতিষ্ঠানের লোকজন তাদের উপর হামলা করে। তখন শুরু হয় ধাওয়া পল্টা ধাওয়া। এতে চাকরি প্রত্যাশী ৫ জন আহত হয়েছেন। রোববার(১১ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে আন্দোলন। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। চাকরি প্রত্যাশীরা জানায়, আদমজী ইপিজেডের আশপাশ এলাকায় গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ট্রেনিং সেণ্টার। এসব সেণ্টারে লোকজন ইপিজেডের বিভিন্ন পোশাক কারখানার পিএম ও জিএমদের সঙ্গে গোপন আতাঁত করে শ্রমিক নিয়োগে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। প্রশিক্ষণ সেণ্টারে অর্থের বিনিময়ে ১০-১৫ দিন প্রশিক্ষণ দিয়ে অভিজ্ঞতার কথা বলে নিয়োগ বাণিজ্য করে আসছে দীর্ঘ দিন ধরে। তাছাড়া ইপিজেডে পুরুষ শ্রমিকদের চাকরি দিতে চায়না। নারীদের প্রাধান্য দেওয়া হয়। ইপিজেডে চাকরি নিতে হলে নারী-পুরুষ উভয়কে ট্রেনিং সেন্টারের দালাল ধরতে হয়। অন্যথায় চাকরি হয়না। চাকরি প্রত্যাশী সাব্বির হোসেন নামে একজন বলেন, ইপিজেডে চাকরির ক্ষেত্রে দালাল মুক্ত ও ঘুষ ছাড়া চাকরি নিশ্চিত করার দাবিতে আমরা সকাল থেকে প্রধান প্রবেশ পথের গেইটের সামনে অবস্থান করি। তখন আমাদের দাবি পেশ করতে কিছু লোকজন মিছিল নিয়ে ইপিজেডের ভেতরে প্রবেশ করে। এসময় ই-স্টার নামক কারখানার লোকজন তাদের উপর হামলা করে। তখন দুপক্ষের মধ্যে ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয় হয়। এতে আমাদের চাকরি প্রত্যাশী ৫ জন আহত হয়। জানতে চাইলে ই-স্টার কারখানার হিসাব রক্ষক দীপঙ্কর বলেন, আমরা কোন হামলা করিনি। আন্দোলনকারীরা আমাদের কারখানায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। ইপিজেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব আহমেদ সিদ্দিক বলেন, আন্দোলনকারীরা জোর করে ভেতরে প্রবেশ করে কয়েকটি কারখানায় ইটপাটকেল ছোড়তে থাকে। এসময় কারখানার কর্মকর্তারা তাদের আটকানোর চেষ্টা করেন। দালাল ও বৈষম্য বিষয়ে তিনি বলেন, এখানে অধিকাংশ কারখানার বেশি কাজ মেয়েদের। তাই মেয়েদের সংখ্যা বেশি। তবে আমি চাকরি প্রত্যাশী প্ররুষদের বুঝিয়ে বলেছি কোন বৈষম্য থাকলে আলোচনা করে সমাধান করা হবে।