প্রধান বিচারপতিসহ হাইকোর্ট ও সারাদেশে দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ পাওয়া বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেছেন চট্টগ্রামের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। শনিবার দুপুরে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম আদালতের প্রবেশ মুখে জমায়েত হন। এ সময় তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন বিএনপি ও জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা। বিক্ষোভকারীরা ঘোষণা দেন, আওয়ামীপন্থী সব বিচারকের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে। এদিকে শিক্ষার্থীরা হাইকোর্টে ঘেরাও কর্মসূচি দিলে দুপুরে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান পদত্যাগ করেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রামের সহ-সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি সমকালকে বলেন, দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ পাওয়া বিচারকদের যে কোনো মূল্যে পদত্যাগ করতে হবে। প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের বিচারপতি, হাইকোর্ট ও সারাদেশে দলীয় বিবেচনায় এবং কোটায় নিয়োগ পাওয়া বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। তাই, আমরা সবাই বিক্ষোভে নেমেছি। সারাদেশে দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ পাওয়া বিচারকরা পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমাদের এই বিক্ষোভ কর্মসূচি চলবে। সমাবেশে অংশ নেওয়া বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আওয়ামীপন্থী সব বিচারপতির পদত্যাগ চেয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পরে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মিছিল নিয়ে নগরীর নিউমার্কেট এলাকায় অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। আইনজীবী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাসমুল আলম বলেন, সারাদেশে দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ পাওয়া পিপি, জিপি ও এপিপিসহ রাষ্ট্রপক্ষের সব আইনজীবীকে পদত্যাগ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের এই যৌক্তিক আন্দোলনের সঙ্গে আমরাও একাত্মতা প্রকাশ করছি।