কলাপাড়ায় বাজার মনিটরিংয়ের কাজ করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। শনিবার বেলা ১১ টায় সকাল পৌর শহরের কাঁচাবাজার মাছ বাজারে মনিটরিংয়ের কারেন এ শিক্ষার্থীদের। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রবিউল ইসলাম, পৌরশহর ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি, নাজমুল মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেহান উদ্দিন রেহানসহ বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা পণ্যের গুণগত মান যাচাই এবং ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে কিনা সেটির তদারকি করতে দেখা গেছে তাদের। এ ছাড়াও প্রতিটি দোকানে মূল্যতালিকা আছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হয়। যেসব দোকানে কোনো মূল্য তালিকা টানানো নেই সেসব দোকানিকে সতর্ক করছেন তারা। শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা ভোক্তাদের কথা শুনছি। তারা জানিয়েছেন, আগের চেয়ে কম দামে পণ্য বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে সিন্ডিকেট এবং চাঁদার সংস্কৃতি না থাকায় কম দামে পণ্য বিক্রি করতে পারছেন বিক্রেতারা। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, কলাপাড়া উপজেলা শাখার সমন্বয়, সাইফ আল রেদওয়ান বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন এখন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনে রূপ নিয়েছে। এই রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তর সমস্যায় জর্জরিত। আমরা এই রাষ্ট্রের সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সকল কার্যক্রম চালিয়ে যাব। এর অংশ হিসেবে আজ বাজার মনিটরিং , পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা,রাস্তার দু’পাশের দখল অপসারণ, ট্রাফিক ব্যবস্থার কাজ করে যাচ্ছি। সাধারণ মানুষ যাতে ভোগান্তিতে পড়তে না হয়। শিক্ষার্থীদের এসব কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ। বাজারে আসা বেশ কয়েকজন ক্রেতা জানান, শিক্ষার্থীদের এই উদ্যোগটা খুবই ভালো লেগেছে। প্রশাসনের নিস্ক্রিয়তার সুযোগে ব্যবসায়ীরা অসদুপায় অবলম্বন করতে চাইত, কিন্তু শিক্ষার্থীদের মনিটরিংয়ের ফলে চাইলেও তারা সেটা করতে পারছেন না। শিক্ষার্থীদের অনেক ধন্যবাদ। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রবিউল ইসলাম বলেন, নতুন করে দেশ সাজানোর কারিগর শিক্ষার্থীদের পাশে উপজেলা প্রশাসন রয়েছে। শিক্ষার্থীদের এই মনিটরিং,পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও ট্রাফিক ব্যবস্থা এর কাজে আমরা সহযোগিতা করছি। আমাদের উপজেলা প্রশাসকের সকল কাজেও শিক্ষার্থীরা সহযোগিতা করবে।