জামালপুরে জেলা কারাগারের বন্দীরা বিদ্রোহ করে, অগ্নিসংযোগ,কারাফটক ভেঙ্গে জেলারসহ কারারক্ষীদের জিম্মি করে পালানোর সময় ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে ৬বন্দী নিহত হয়েছে বলে কারাসুত্রে জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার ৮ আগস্ট এ ঘটনাটি ঘটলেও শুক্রবার ৯ আগস্ট সকালে মৃত্যুর বিষয়টি জানাজানি হয়। নিহত কয়েদিরা হলেন, আরমান পিতা- ফহিম , রায়হান পিতা- অজ্ঞাত, শ্যামল পিতা- মাসুদ, ফজলে রাব্বি বাবু পিতা অজ্ঞাত, জসিম পিতা- নুরুল ইসলাম, রাহাত পিতা-অজ্ঞাত। তারা প্রত্যেকেই জামালপুর সদর উপজেলার বাসিন্দা বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কারাগারের জেলার মো.আবু ফাত্তাহ। তিনি জানান,এ ঘটনায় ১৪জন কারারক্ষী, ৫জন কয়েদীসহ মোট ১৯ জন আহত হয়েছেন। কারাগার সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গ্রেপ্তার শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক মামলার বন্দী আসামিরা গত কয়েক দিনে কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছে। অন্য মামলার আসামিরা কারাগারে বন্দী রয়েছে। সেই বন্দী আসামিরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়। তাদের একটি পক্ষ মুক্তির জন্য বিদ্রোহ করে। তারা দুই পক্ষ মারামারি শুরু করে। পরে ওই বিদ্রোহী পক্ষ প্রথম গেট ভেঙ্গে কারাগার থেকে বের হয়ে আসে এবং দ্বিতীয় গেট খুলে দেওয়ার জন্য জেলার আবু ফাতাহসহ কারারক্ষীদের অপর আক্রমণ করে এবং গেট খুলে দেওয়ার জন্য বলে। গেট খুলে দিতে অস্বীকৃতি জানালে বিদ্রোহীরা তার ওপর আক্রমণ এবং মারধর করে। পরে বন্দীদের একটি পক্ষের সহায়তায় জেলার কারাগার থেকে বের হয়ে এলেও ১০ জন কারারক্ষী আটকা পড়েন। এ সময় বিদ্রোহী কারাবন্দীরা গেটে আক্রমণ করে। পরে কারারক্ষীরা ফাঁকা গুলি ছুড়তে থাকেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হন। বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চলতে থাকে গুলিবর্ষণ। ওই পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় কারাগারের ভেতরে অ্যাম্বুল্যান্স প্রবেশ করে। জামালপুর জেলা কারাগারের জেলার আবু ফাতাহ বলেন, ‘কারাবন্দীরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে মারামারি শুরু করে। এ সময় তারা আমাকে ও কারারক্ষীদের ওপর আক্রমণ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। এ ঘটনায় ছয়জন কারাবন্দীর মৃত্যু হয়েছে। কারারক্ষীসহ ১৯ জন আহত হয়েছেন।’ জেলার আবু ফাত্তাহ আরো জানান কারাগারের অবশিষ্ট বন্দীরা সুস্থ্য আছেন। তারা প্রত্যেকেই সকালের খাবার খেয়েছে।