বগুড়ায় জেলার ১২টি থানায় সীমিত পরিসরে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।সদর থানা পুরোপুরি পুড়ে যাওয়ায় সেখানে বসার মত কোন পরিবেশ নাই বলে, সদর থানার কার্যক্রম ডিবি কার্যালয়ে চলছে। গত শুক্রবার বিকাল থেকে পুলিশ সদস্যরা অভ্যন্তরীণ কাজ করতে দেখা যায়৷ তবে সব থানা পুলিশ বাহিরে টহল দেয়া থেকে এখনও বিরত রয়েছে। আর সকল থানায় নিরাপত্তা জোরদার করতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। শনিবার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার জাকির হাসান। এর আগে, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিক্ষুব্ধ জনতা বগুড়ার বিভিন্ন থানায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে। এ অবস্থায় বন্ধ হয়ে যায় জেলার সকল থানার কার্যক্রম। শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর থেকে দেশজুড়ে কর্মবিরতি পালন করছে বাংলাদেশ পুলিশের বৈষম্যবিরোধী কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি।সমন্বয় কমিটির দেওয়া ১১ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন পুলিশ সদস্যরা। বগুড়ার পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেন, বগুড়ার ১২টি থানায় কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। থানার নিরাপত্তায় সেনা সদস্যরাও কাজ করছে। সদর থানা পুরোপুরি পুড়ে যাওয়ায় সেখানে বসার মত কোন পরিবেশ নেই৷ তাই সদর থানার কার্যক্রম ডিবি কার্যালয়ে চলছে। বগুড়া সদর উপজেলায় দায়িত্বে থাকা সেনা কর্মকর্তা বলেন, প্রতিটা থানায় নিরাপত্তা জোরদার করতে সেনা সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। আমরা পুলিশের সাথে আলোচনা মাধ্যমে চেষ্টা করছি দ্রুত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে।’ দুপচাঁচিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সনাতন চন্দ্র সরকার বলেন, আমাদের থানা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা শুরু থেকে থানাতেই আছি। আজ থেকেই খুব সীমিত পরিসরে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। তবে বাইরের কার্যক্রমে এখনও পুলিশ অংশ নেয়নি। সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ বাবু কুমার সাহা বলেন, আমাদের থানার কার্যক্রম চালু হয়েছে। টহল বাদে সব ধরণের কার্যক্রম চলছে। শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রউফ বলেন, আমাদের থানা ক্ষতিগ্রস্ত। এলাকায় খুব বেশি লোকজন নেই। আমরা থানাতে কার্যক্রম শুরু করেছি৷ তবে সব কার্যক্রম আমাদের অভ্যন্তরীণ।