বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতা ওপর নির্বিচারে করে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনাসহ গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। শনিবার সচিবালয়ে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের সঙ্গে আইন ও বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের এক মতবিনিময় সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সিদ্ধান্তগুলো হলো-
১. জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন দমন করার জন্য যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে সেগুলোর সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার ব্যবস্থা করা হবে।
২. গত ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনকে দমন করতে যেসব ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়েছে, সেগুলো আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রত্যাহার করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
৩. শিশু-কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে যেসব শিশু-কিশোর মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় আটক রয়েছে, তাদের আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে ছেড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
৪. সন্ত্রাস দমন আইন ও সাইবার নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলাগুলো দ্রুত প্রত্যাহার করার ব্যবস্থা করা হবে।
৫. আইন ও বিচার বিভাগের ১৬৪৩০ নম্বরে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় ভিকটিম সাপোর্ট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।