সম্প্রতি সারাদেশে ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে দুস্কৃতিকারীদের আক্রমণের শিকার হয় পুলিশ ও বিভিন্ন থানা। তার অংশ হিসাবে ফরিদপুরে তিন থানায় লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। জেলার পুলিশ সদস্যদের কাজে ফিরিয়ে আনতে ও তাদের সহযোগিতা করতে কাজ করছে সেনাবাহিনী। শনিবার দুপুরে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় অফিসার ও ফোর্সদের সঙ্গে কথা বলেন জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা লে: কর্নেল নাহিদুল আমিন শেখ। এ সময় তিনি থানার ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন ধ্বংসস্তূপ পরিদর্শন করেন। পরে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এই সেনা কর্মকর্তা। তিনি বলেন, দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কাজ করছে। ফরিদপুরের সব থানায় পুলিশ সদস্যরা নির্বিঘ্নে নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মানুষের সেবার কাজে ভূমিকা রাখতে পারে সেই লক্ষ্যে আমরা তাদের সহযোগিতা করছি। তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই জেলার প্রত্যেকটি থানায় স্বল্প পরিসরে কাজ শুরু হয়েছে। এসময় পুলিশ সুপার মো. মোর্শেদ আলম, কোতোয়ালি থানার ইনচার্জ মো. হাসানুজ্জামান, ফরিদপুর প্রেসক্লাবে সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকীসহ থানার সব অফিসার্স ও ফোর্স উপস্থিত ছিলেন । এ সময় জেলা পুলিশ সুপার মো. মোর্শেদ আলম বলেন, আমরা যতো দ্রুত সম্ভব চেষ্টা করছি মানুষের সেবা দেওয়ার কাজ শুরু করতে। আমরা প্রত্যেকটি সিনিয়র অফিসার ফোর্সের মনবল ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে তাদের সঙ্গে বারবার কথা বলছি। পুলিশ সুপার এসময় বলেন, জেলার নয়টি থানার মধ্যে ফরিদপুর সদর, মধুখালী ও সদরপুর থানা সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই সব থানার ভবন ও সরকারি মালামাল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে অবশিষ্ট কিছু নেই, নেই মামলার নিথিপত্র, হয়েছে সরকারি ও ব্যক্তিগত অস্ত্র লুট। পুলিশ সুপার বলেন, লুট হওয়া অস্ত্রগুলো উদ্ধারে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।