জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘যারা বুক চিতিয়ে যুদ্ধ করেছেন, সেই ছাত্র-যুবসমাজের যে প্রত্যাশা; এ দেশের ১৮ কোটি মানুষের যে প্রত্যাশা; আমার এবং আমার দলের সেই একই প্রত্যাশা। দেশে বৈষম্য দূর করা, দেশে ইনসাফ কায়েম করা এবং মানুষের ন্যায্য অধিকার সুনিশ্চিত করা আমাদের প্রত্যাশা।’
শুক্রবার দুপুরে রাজশাহীতে ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিবির নেতা আলী রায়হানের জানাজায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আমূল সংস্কার করতে চাচ্ছি। যুদ্ধ শুরু হয়েছে সংস্কারের, এটি শেষ হয়নি। এই যুদ্ধে আমরা থাকব।’
দেশে চলমান সহিংসতা প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, আমরা বিভিন্ন ধর্মাবলাম্বীদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাহারাদার বসিয়ে দিয়েছি। গত তিন দিন ধরে তারা পাহারা দিচ্ছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে কেউ যদি নিরাপত্তাহীনতা অনুভব করে, তাদের সাহায্যের জন্য আমরা হেল্পলাইন ওপেন করেছি। আমরা ইতোমধ্যে পাড়ায়-পাড়ায় প্রতিরোধ করার জন্য কমিটি করেছি।
তিনি বলেন, প্রথম দিন থেকেই বক্তব্য-বিবৃতির মাধ্যমে আমি জাতিকে আহবান জানিয়েছি- আমরা এই বিশৃঙ্খলা হতে দেব না। প্রশাসনের সঙ্গে ইতোমধ্যে উপজেলা, জেলা, বিভাগ ও জাতীয় পর্যায়ে আমাদের দায়িত্বশীল নেতাদের মিটিং হয়েছে। আমাদের কাছ থেকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে- তারা যদি দায়িত্ব পালন করতে এগিয়ে আসেন, আমরা তাদের পাহারা দেব।
রাজশাহী কলেজ মাঠে মহানগর ছাত্রশিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক আলী রায়হানের (২৮) জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন জামায়াতের আমির। জানাজায় রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন, মহানগর জামায়াতের আমির ইমাজ উদ্দিন মন্ডল, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলামও অংশগ্রহণ করেন।
গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের একদফা আন্দোলন চলাকালে নগরীর আলুপট্টি এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে রায়হান মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।