শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে চরকুমারীয়া ইউনিয়নে দুর্বৃত্তদের হামলায় মোঃ ফারুক মোল্লা (৪৫) নামে এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ সময় তারা ১৫টি বসতবাড়িতে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় ১৫ জন আহত হয়েছে। এতে করে পুরো এলাকায় আতংক বিরাজ করছেন। স্থানীয়রা জানায়, বুধবার বিকেলে ভেদরগঞ্জ উপজেলার চড়কুমারীয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সিরাজ মোল্লার বাড়িতে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। এতে সিরাজ মোল্লার ভাই ফারুক ওরফে জসিম মোল্লা (৪৫) নিহত হন। এছাড়া আহত হন আরো ১০ জন। আহতদের মধ্যে তিনজনকে ডামুড্ডা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে । বুধবার রাতে ভেদরগঞ্জ উপজেলার চরকুমারীয়া ইউনিয়নের গনি মোল্লার কান্দি এলাকার আবদুল হাই মোল্লার ছেলে ও চর কুমারিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি মোঃ ফারুক মোল্লা ও তার ভাই হারুন মোল্লাকে কুপিয়ে আহত করে। তাদেরকে উদ্ধার করে ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ সময় সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ফারুক মোল্লার বসতবাড়িতে হামলা চালায়। তারা বাড়িতে ঢুকে ফারুক মোল্লা ও তার ছোট ভাই ফরহাদ, সুরুজ মোল্লা, আয়শা বেগম, পান্না আক্তার মিজান মোল্লা ও বাবুল মোল্লাসহ ১৫ জনকে মারাত্মক আহত করে। এরপর দুর্বৃত্তরা তাদের বাড়িতে লুটপাট ও ভাঙচুর করে ১৫টি বসতঘরে আগুন দিয়ে চলে যায়। নিহতের ছোট ভাই মামুন মোল্লা, ও তার ছেলে মহসিন মোল্লা বলেন, স্থানীয় সন্ত্রাসী সম্রাট মোল্লা, অনিক মোল্লা, মনির মোল্লা গংরা আমার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এবং আমাদের বাড়িঘর লুটপাট করে জ্বালিয়ে দিয়েছে। আমরা কার কাছে বিচার চাইবো। নিহতের ভাই ও স্থানীয় ইউপি সদস্য সিরাজ মোল্লা বলেন, আমরা রাজনীতি করার সময় কারো কোনো ক্ষতি করিনি। কিন্তু বিএনপি-জামায়াতের লোক আমার ভাইকে মেরে ফেললো। সম্রাট মোল্লা, অশ্রু, অনিক ওরা আমার ভাইকে ধারালো অস্ত্র দিয়া কোপাইছে। আমার আরেক ভাইয়ের অবস্থাও খুব খারাপ, মনে হয় সেও বাঁচবে না। ওরা আমাগো বাড়িঘর সব জ্বালাই দিছে। আমরা ওগো বিচার চাই।’ ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আনিকা বলেন, স্বজনরা মোঃ ফারুক মোল্লাকে গুরুতর আহত অবস্থায় নিয়ে এসেছিল। তার শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার ভাই ফরহাদ মোল্ল্যাকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।