ঢাকার ধামরাইয়ে ০৫ আগস্ট সকালে এক নারীসহ ৬ জন গুলিবিদ্ধ হওয়ায় ধামরাইয়ে উত্তেজিত জনগণ ধামরাই উপজেলা অফিস, থানা ও ধামরাই পৌরসভা ভাংচুর ও আগুন দেয় এবং বিকেল ০৩ টার দিকে শিক্ষার্থী-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার খবরে ধামরাই বিজয় মিছিল নিয়ে রাস্তায় নামে জনগণ। এ সময় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সরকারি অফিস ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। একপর্যায়ে শহরের অনেকগুলো পয়েন্টে ধ্বংসযজ্ঞ হয়। সেই ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৭ আগস্ট) সকালে ধামরাইয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে সাথে নিয়ে সেই ধ্বংসস্তূপগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করেন। শিক্ষার্থীরা মুখে মাস্ক পরে, হাতে বস্তা, ঝাড়ু ও বেলচা নিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে নেমে পড়ে। শিক্ষার্থীরা জানায়, কোটা বিরোধী আন্দোলনের সময় শহরের বিভিন্ন স্থানে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। উপজেলা, থানা, পৌরসভাসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কাচের টুকরা, ইটপাটকেল-লাঠিসোটা পরিস্কারসহ শহরের নানা আবর্জনা পরিস্কার করছেন তারা। শিক্ষার্থীরা আরোও জানান , ধামরাই আমাদের শহর এ শহরকে পরিস্কার ও নিরাপদ রাখা আমাদের দায়িত্ব। আমাদের শহরকে পরিচ্ছন্ন করতে নেমেছি। যদি কোথাও কেউ আবার ধ্বংসস্তূপ সৃষ্টির চেষ্টা করে তাহলে তাদের শক্ত হাতে দমন করা হবে। এ সময় সচেতন নাগরিক সমাজ ধামরাই এর সভাপতি মো. ইমরান হোসেন মাইকিং করে জনসাধারণকে সচেতন থাকার জন্য আহ্বান জানান। কেউ যেন অতি উৎসাহী হয়ে ভাঙচুর, হামলা, লুটপাট না করে সেদিকে সবাইকে সর্তক থাকার জন্যও অনুরোধ করেন তিনি বিশেষভাবে, প্রসঙ্গত ধামরাইয়ে ০৫ আগস্ট ধামরাইয়ে গুলিবিদ্ধ হন ১৫ জন এছাড়া আহত হয়েছেন আরোও পাচঁ জন।