শেখ হাসিনার পদত্যাগে জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের টনকী বাজারে ছাত্র জনতার আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিকেলে টনকী বাজার চৌরাস্তা মোড় থেকে আনন্দ মিছিলটি বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে টনকী বাজার রেলক্রসিং হয়ে ইউনিয়ন পরিষদ হয়ে টনকী বাজার তিন রাস্তা মোড়ে এসে আনন্দ মিছিলটি ক্ষনিকের মধ্যে গন মিছিলে পরিনত হয়। পরে মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছাত্র জনতার উদ্দেশ্য দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ সম্পাদক মেলান্দহ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মেলান্দহ -মাদারগঞ্জের প্রাণ প্রিয় নেতা জননেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পাশের দেশ ভারতে পালিয়ে গেছে। এই বিজয় ছাত্র জনতার বিজয়। এই বিজয় শত শত ছাত্রের শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়ে আজ ছাত্র জনতার বিজয় হয়েছে। এই দেশের মানুষ মহাখনী শেখ হাসিনার শৈরাচারমুক্ত শাসনের অবসান হয়েছে। তিনি আর কখনো বাংলার মাটিতে ফিরে আসবে না। তিনি আরো বলেন আজ থেকে কোন প্রকার সরকারি-বেসরকারী অফিস, দোকান-পাট, বাড়ি ঘর ভাংচুরসহ সকল সহিংসতা বন্ধে সকলের প্রতি আহবান জানান। সেই সাথে আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রাখার অনুরোধ জানান। বক্তব্যে আরও বলেন সংখ্যা লঘুরা আমাদের ভাই,আমাদেরই পরিবার। আরও তাদের নিরাপত্তার ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্বারোপ করবেন। দুষ্কৃতকারী চক্রের ষড়যন্ত্র থেকে সকল প্রকার মন্দির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি মানুষকে সজাগ থাকতে বলেন। পথসভায় সভাপতিত্ব করেন কুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহবায়ক ও সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজলুর রহমান ঠান্ডা। কুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ সুরুজ্জামান সুরুজ এর সন্ঞালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন মেলান্দহ উপজেলা বিএনপির সদস্য সাবেক সফল যুব নেতা মুন্জুরুল কবীর মুন্জু, উপজেলা বি এন পির অন্যতম সদস্য মোঃ নুরনবী, মেলান্দহ উপজেলা ছাত্র দলের সদস্য সচিব রকিব হাসান রনি, প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। সমাবেশ শেষে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন হাফেজ ইমান আলী।