হাসপাতাল পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পরিচালনায় সফল হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ঢাকায় আসার বিষয়টি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তার সম্পর্কে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিএনপি মহাসচিব।
এর আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক হারুন আল রশিদ, বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলামকে নিয়ে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে যান। সেখানে কোটাবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনচলাকালে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ তৎকালীন সরকারি দলের সন্ত্রাসীদের হামলা-গুলিবর্ষণের ঘটনায় কয়েকশ মানুষ গুরুতর আহত হন। তাদের দেখতে যান বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস তো ছাত্রদের- আমাদের মনোনীত ব্যক্তি যাকে আমরা গোটা জাতির পক্ষ থেকে এই দায়িত্ব দিয়েছি… তিনি এই দায়িত্ব পালন করবেন। আমরা অত্যন্ত আশাবাদী, তার সফল নেতৃত্বে, তার যোগ্য নেতৃত্বে যে বিষয়টি (আইন-শৃঙ্খলা) আপনি বললেন এটা কাটিয়ে উঠে তিনি তা পূরণ করতে পারবেন।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সবচেয়ে বড় বিষয় শুধু কিন্তু সেটা না। এই গোটা সমস্যার মূল হচ্ছে গণতন্ত্রের অভাব। সেই গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা হচ্ছে তার অন্যতম প্রধান কাজ। যত দ্রুত তিনি গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে পারবেন ততই তিনি সাফল্য অর্জন করতে পারবেন।’
অন্তর্বতীকালীন সরকারের কাছে প্রত্যাশা কী জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রথমটা হচ্ছে যে আপনার আইন-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে হবে… তার জন্য চূড়ান্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। দ্বিতীয় হচ্ছে, অতি দ্রুত নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক যে সরকার আছে সেখানে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। তৃতীয়টি হচ্ছে, অর্থনীতি সচল রাখার জন্য সবরকমের ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘ভয়াবহ যে দানবীয় সরকার, অত্যাচারী, হত্যাকারী সরকার তাদের পতন হয়েছে আমাদের ছাত্রদের নেতৃত্বে রাজনৈতিক দলসহ পেশাজীবীদের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। শিক্ষার্থীদের আমরা অভিবাদন জানাই। সেই সঙ্গে যারা নিহত হয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।
তিনি আরও বলেন, আহতদের চিকিৎসার জন্য আমরা হাসপাতালের কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছি। আমাদের ড্যাবের চিকিৎসকরা কাজ করছেন, আমাদের ছাত্ররা কাজ করছেন।