নাশকতাসহ বিভিন্ন মামলায় বিএনপির কয়েকশ নেতাকর্মী কারামুক্ত । গত ছয় আগস্ট দিনের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আদালতে জামিন মঞ্জুরের পর কারাগার থেকে বেড়িয়ে আসেন কয়েকশ নেতাকর্মী। মুক্তি পাওয়া উল্লেখযোগ্য নেতারা হলেন- বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রফিকুল ইসলাম, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, নিপুণ রায় চৌধুরী, মিয়া নুরুদ্দিন অপু, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান ওরফে শিমুল বিশ্বাস, পটুয়াখালী জেলা যুব দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আলামিন সুজন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব, দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মজনু, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এম এ সালাম ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ কয়েকশ নেতা কর্মীগন।
গত জুনে শুরু হওয়া কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জুলাইয়ের সংঘাতকে কেন্দ্র করে গ্রেফতার হয়েছিলেন তারা। কারামুক্ত জেলা যুব দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আলামিন সুজন তিনি দীর্ঘদিন জেলা ছাত্র দলের সাংঘঠনিক সম্পাদক হিসেবে ত্যাগী নেতা হিসেবে রয়েছে জেলা বেশ পরিচিত, দলের কাল মুহূর্ত নেতৃত্ব দিয়ে বর্তমানে জেলা যুব দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জেলা যুব দলকে সংগঠিত করে যাচ্ছেন সুজন । সুজন কোঠা আন্দলনে শহীদদের গায়েবানা জানাজা অংশগ্রহণের জন্য গেলে রাজধানী ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদ প্রাংঙ্গন থেকে গ্রেফতার করেন কোঠা বিরোধী সরকারের পেটোয় পুলিশ।
সোমবার রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মী ও শিক্ষার্থীদের মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তার পরই মুক্তি পেলেন বিএনপি নেতারা।
অন্যদিকে, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নির্বাহী আদেশে মুক্তি দেয়া হয়েছে। বঙ্গভবনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের বৈঠকের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হয়।