মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে চলমান সংঘাতের জেরে আবারও বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে রোহিঙ্গারা। এভাবে অনুপ্রবেশের সময় রোহিঙ্গাদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে। এতে কক্সবাজারের টেকনাফ সাগর উপকূল থেকে এই পর্যন্ত শিশুসহ নয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও অন্তত ২২ জন। নিহতের মধ্যে তিনজন শিশু, চারজন নারী ও দুইজন পুরুষ রয়েছেন। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে দুইজনকে। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাবিরছড়া ও রাজারছড়া পয়েন্ট সাগরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। টেকনাফ সদর ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুর রশিদ বলেন, মিয়ানমার থেকে প্রাণে বাঁচতে পালিয়ে আসার সময় টেকনাফে সাগরে নৌকা ডুবির ঘটনায় নয়জন রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রশাসনের নির্দেশনা অনুসারে ক্যাম্পে থাকা স্বজনদের কাছে নিহতদের মরদেহগুলো হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে। ডুবে যাওয়া নৌকায় ৩১ জন রোহিঙ্গা ছিল বলে জানা গেছে। এদিকে গত কয়েকদিনে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে অন্তত কয়েক হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, গত দুইদিনে নৌকায় করে বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশ করা রোহিঙ্গা অনেকেই কৌশলে ক্যাম্পে প্রবেশ করলেও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা কিছু রোহিঙ্গাকে সংখ্যক আটক করেছে। তাদের বিজিবির হেফাজতে রাখা হয়েছে। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী জানান, রোহিঙ্গাবোঝাই নৌকা ডুবির ঘটনায় নয়জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আরও কিছু রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। যারা বিজিবি হেফাজতে রয়েছে বলে জানা গেছে।