বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতায় সাভারে পুলিশসহ অন্তত ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ২৭ জন; ছয়জনকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাভারের এনাম মেডিকেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে ১৩; নারী ও শিশু হাসপাতালে তিন; গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজে ৯ ও হাবিব ক্লিনিকে দুজনসহ মোট ২৭ হন নিহত হয়েছেন। আশুলিয়া থানার সামনে ৪ ও থানার লাশ ঘরের সামনে দুজনের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কয়েকজনের নাম জানা গেছে। এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন- রমজান আলী (৩৫), শ্রাবণ গাজী (২১), তৌহিদুর রহমান (২৮), মুজাহিদ (২৪), রাসেল (২৮), নাফিজা, সাফওয়ান, নিশান, মুন্না, রফিক, সজীব, রানা ও আলামিন। বাকিদের পরিচয় খোঁজা হচ্ছে। আন্দোলনকারীরা জানায়, সোমবার দিনের শুরুতে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করে কারফিউ দেওয়া হয়। কিন্তু সড়কে অজস্র মানুষের ঢল দেখে ব্যারিকেড তুলে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়লে সড়কে ঢল নামে মানুষের, হামলা করা হয় থানায়। জমায়েত জনতাকে আতঙ্কে রাখতে বিভিন্ন ভবনের ছাদ থেকে পুলিশ গুলি চালায়। এছাড়া থানা এলাকা থেকে ব্যাপক গুলি ছোঁড়ে পুলিশ। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছেন। পরে উত্তেজিত জনতা আশুলিয়া থানায় হামলা করে। এসময় পুলিশসহ আরও ৬ জন নিহত হন। তাদের মরদেহ এখনও আশুলিয়া থানা এলাকায় পড়ে আছে। নারী ও শিশু হাসপাতালের ম্যানেজার হারুন ওর রশিদ বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিনজন আসেন, তাদের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গুরুতর আহত অন্যান্যদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করা হয়েছে। হ্যাপী জেনারেল হাসপাতালের ম্যানেজার মুকুল বাংলানিউজকে বলেন, সোমবার দুপুর থেকে আমাদের হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রোগী আসতে থাকে। প্রায় সাড়ে ৩০০ গুলিবিদ্ধ যুবক এসেছিলেন। আমরা তাদের বিভিন্ন হাসপাতাল রেফার করেছি। কিন্তু এখানে কেউ মারা যায়নি।