সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় দুর্বৃত্তদের হামলা, আগুন ও মারপিটে নিহত এনায়েতপুর থানার ওসিসহ ১৩ জন পুলিশ সদস্যের মরদেহ রাতে উদ্ধার করে শহীদ এম. মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয়েছে। রাত থেকে সোমবার দুপুর ২টা পর্যন্ত মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন না হওয়ায় নিথর দেহগুলো মর্গেই পড়ে রয়েছে।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. জাহাঙ্গীর হোসেন রবিবার দুপুর ২টার দিকে জানান, একদিকে মরদেহের সুরুতহাল রিপোর্ট পুলিশ এখনো হাসপাতালে জমা দেয়নি। সুরুতহাল প্রতিবেদন ছাড়া ময়নাতদন্ত করা সম্ভব নয়। অন্যদিকে চিকিৎসকরা ভয়ে মেডিকেলে আসছে না। যে কারণে ময়নাতদন্ত করা সম্ভব হয়নি। মরদেহগুলো হাসপাতাল মর্গেরই রয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল জানান, দুর্বৃত্তদের হামলায় এনায়েতপুর থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক ও ৪ জন এসআইসহ ১৩ জন মারা গেছে। লাশগুলো ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ লাইন মাঠে জানাজা হবে। এরপর পরিবারের লোকের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তবে নিহতের নাম-পরিচয় এই মুহূর্তে দেয়া সম্ভব নয় জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
এর আগে রবিবার দুপুর ১২ টার দিকে এনায়েতপুরে ১০ থেকে ১২ হাজার আন্দোলনকারী থানার সামনে বিক্ষোভ করাকালে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে তিনজন শিক্ষার্থী মারা যায়। এতে আন্দোলনকারীরা চারদিক থেকে একযোগে থানায় হামলা চালায়। এক পর্যায়ে ওসিসহ ১৩ জন পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করে থানায় আগুন ধরিয়ে দেয়। থানার ভিতরেই পুলিশ সদস্যের নিথর মরদেহ পড়ে থাকে। পরে রাত ১১টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ বিজিবি টিম এনায়েতপুর থানায় পৌঁছে মরদেহগুলো উদ্ধার করে শহীদ এম. মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে নিয়ে আসেন।