বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল কুট্রাপাড়া মোড়ে বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মিছিল থেকে আওয়ামীলীগের উপর চড়া হয় আন্দোলনকারীরা। এতে সরাইল উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা. রোকেয়া বেগম ও উপজেলা ছাত্রলীগের ফাহাদসহ অন্তত ৫ জন আওয়ামীলীগের নেতা আহত হয়েছেন।আহতদের কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার ৪ আগস্ট সাড়ে ১১ টার দিকে আওয়ামী লীগের মিছিলটি কুট্রাপাড়া মোড়ে আসলে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিক্ষার্থীরা সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্বরোড় মোড় থেকে একত্রিত হয়ে মিছিল নিয়ে কুট্রাপাড়া মোড়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের একটি মিছিলও সেখানে আসে। এসময় দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। কিছুক্ষণ পরে শিক্ষার্থীরা পুরা এলাকা দখলে নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপজেলা ভিতরে ঢুকে পড়ে। উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন ব্যানার পিস্টন ছেড়ে ফেলে স্লোগান দিতে থাকে।খণ্ড খণ্ড মিছিল যোগ দেয়। এ সময় ‘এক দুই তিন চার, স্বৈরাচার তুই গদি ছাড়’, বুইজা গেছে জনগণ’, ‘দফা এক দাবি এক, স্বৈরাচারের পদত্যাগ’, ‘নয়-ছয় বুঝি না, কবে যাবি হাসিনা’, ‘আবু সাঈদ মরলো কেন, প্রশাসন জবাব চাই’-এমন স্লোগান দিতে দেখা যায় শির্ক্ষার্থীদের। উল্লেখ্য, ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অনেক অভিভাবকও অংশ নিতে দেখা গেছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঢাকা সিলেট হাইওয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা অবস্থান করতে দেখা গেছে।