টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহেরের ব্যক্তিগত গাড়ি প্রাইভেটকারে আগুন দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের বটতলা এলাকায় তার গাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেন। এর আগে ওই এলাকায় আন্দোলনকারীদের মিছিলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা ও গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বেলা পৌনে ১১টার দিকে আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে জমায়েত হন। সেখানে হাজার হাজার ছাত্রজনতার স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। আন্দোলনটি জনস্রোতে পরিণত হয়েছে। এরপর তারা বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজপথ দখল করে মিছিল নিয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করতে যান। বর্তমানে টাঙ্গাইল শহরের রাজপথ বৈষম্যবিরোধীদের দখলে রয়েছে। সেখান থেকে শহরের বিভিন্ন জায়গায় গাড়ি, মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটছে।
এ ঘটনায় পুরো শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। শহরে দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ ও শহরের ভেতরে ছোট যানবাহন সীমিত আকারে চলছে। কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ, র্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করতে দেখা যাচ্ছে।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) শরফুদ্দিন জানান, আন্দোলনকারীদের শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে। আমরা ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।