ফরিদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বেলা ১০টার দিকে কযেক হাজার শিক্ষার্থী মেডিকেল কলেজের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে বের হয়। মিছিলটি আলীপুর গোরস্তানের সামনে গেলে তাদের উপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে কিছু যুবলীগের কর্মীরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের ধাওয়ায় তারা পালিয়ে যায়। পরে মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা জেলা আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা চালায়। হামলাকারীরা এ সময় আওয়ামী লীগ অফিস ও সেখানে রাখা বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। এরপর শিক্ষার্থীরা শহরের বিভিন্ন স্থানে থাকা শোক দিবসের গেট ভেঙে ফেলে। শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে জেলখানার সামনে দিয়ে যাবার সময় সেখানে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। সে সময় পুলিশ বিপুল সংখ্যক টিয়ারসেল ও হ্যান্ড গ্রেনেড ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। মিছিলকারীরা পরে রাজেন্দ্র কলেজের রুকসু ভবনের ছাত্রলীগের অফিস পুড়িয়ে দেয়।
এ সময় তারা যুবলীগ নেতার একটি রেস্টুরেন্ট ভাঙচুর করে। এ সময় আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন কমলাপুরস্থ বাড়িতে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। মিছিলকারীরা পরে থানা রোডে থাকা যুবলীগের মিছিলটি ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় কয়েক হাজার শিক্ষার্থী কোতয়ালী থানায় ইট পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। পুলিশ এসময় টিয়ারসেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পরে শিক্ষার্থীরা পূর্ব খাবাসপুর মোড়ে অবস্থান নেয়। পুলিশের ঊদ্ধর্তন কর্মকর্তা শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। বেলা ১টার দিকে ফের হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে জনতা ব্যাংক মোড় এলাকায়। শহরের বিভিন্ন স্থানে এখনো শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশের পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটছে।