টাঙ্গাইলের সখীপুরে ৯ দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সকাল ১২ টার দিকে পৌরসভার মোখতার ফোয়ারা চত্বর ও উপজেলা পরিষদ গেটের সামনে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দুই রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এতে তিনজন পুলিশসহ ১১ জন আহত হয়েছে।
এর আগে সকাল ১১টার দিকে উপজেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের কয়েকশত শিক্ষার্থী ও জনতা সখীপুর পৌরসভার মোখতার ফোয়ারা চত্বরে এসে অবস্থান নেয়।
আন্দোলনকারীরা জানায়, সারা দেশের মতো সখীপুরের মোখতার ফোয়ারা চত্বরে সকাল ১১টার দিকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেয়। বেলা ১২ টার দিকে মিছিল নিয়ে তারা উপজেলা গেইটের সামনে শান্তি পূর্ণভাবে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। এ সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাদের মিছিলের উপর আক্রমণ করে। এ নিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অবস্থানরত পুলিশ দুই রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এতে তিনজন পুলিশ, চারজন ছাত্রলীগের কর্মী ও চারজন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীসহ মোট ১১ জন আহত হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মো. মনিরুল ইসলাম জানায়, ইটের আঘাতপ্রাপ্ত তিনজন পুলিশকে জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিজারুল ইসলাম (৩০), পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আমির হামজা বাদু (৪০) ও জাহিদ হাসান (২৫) আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন।
এদিকে গুরুতর আহত কালিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামকে (৪০) টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
সখীপুর থানার ওসি শেখ শাহিনুর রহমান বলেন, সখীপুরে আজ এই প্রথম বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা কর্মসূচি পালন করেছে। আন্দোলনকারীদের ওপর কোনো লাঠিচার্জ আমরা করিনি। আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসে নিক্ষেপ করা হয়েছে। আন্দোলনকারী কেউ আহত হয়নি। বরং পুলিশ ও ছাত্রলীগের কর্মীরাই আহত হয়েছে।