রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ পরিপ্রেক্ষিতে দেশে আবারও উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
এ ইস্যুতে সাধারণ ছুটি অথবা অন্য কোনো পরিকল্পনার সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন। শনিবার (৩ আগস্ট) বিকেলে গণমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য জানান।
উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে কোনো ধরনের সাধারণ ছুটি অথবা অন্য কোনো পরিকল্পনা করেছেন কি না– এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এটি এখনও আমি জানি না, মানে আমাদের কাছে খবর আসেনি। সিদ্ধান্ত হলে আমরা জানাতে পারব।’
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা-সংঘাত ছড়িয়ে পড়লে গত ১৯ জুলাই রাতে সারা দেশে কারফিউ জারি করে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। পরে ২১ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। ২৪ ও ২৫ জুলাই বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সীমিতভাবে চলে সরকারি-বেসরকারি অফিস।
পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হলে গত রোব, সোম ও মঙ্গলবার (২৮, ২৯ ও ৩০ জুলাই) অফিস চলে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। বুধবার (৩১ জুলাই) থেকে স্বাভাবিক সময় ধরে চলছে সরকারি-বেসরকারি অফিস।
এদিকে পরিস্থিতি আবারো উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেছেন। জনসমুদ্রে পরিণত হয় এ বিক্ষোভ সমাবেশ।
শনিবার (৩ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শহীদ মিনারে সমবেত ছাত্র-জনতার উদ্দেশে বক্তব্য দেন নাহিদ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার মন্ত্রিসভাকে পদত্যাগ করতে হবে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, আর এক মিনিটও এ সরকার থাকবে না। এক দফা এক দাবি শেখ হাসিনার পদত্যাগ।