কোটা আন্দোলনের সময় রাজধানীর সেতু ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বনানী থানায় দায়ের করা মামলায় দুই দফা রিমান্ড শেষে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (০২ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এ মামলায় গত ২৫ জুলাই প্রথম দফায় পার্থর ৫ দিন ও ৩০ জুলাই দ্বিতীয় দফায় ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। সেই রিমান্ড শেষে আজ তাকে আদালতে হাজির করে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক আবু সাইদ মিয়া।
অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ২৪ জুলাই তাকে গুলশানের একটি বাসা থেকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১৮ জুলাই প্রতিদিনের মতো সেতু ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যথারীতি অফিসের কার্যক্রম করতে থাকেন। চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী অজ্ঞাতনামা ২৫০ থেকে ৩০০ জন আসামি কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও নাশকতা করার লক্ষ্যে বেআইনি জনতাবদ্ধে আবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল নিয়ে আমাদের অফিসের সামনে এসে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
সেতু ভবনের সিনিয়র সচিবসহ কর্মকর্তাদের পদ-পদবি উল্লেখ করে খোঁজাখুঁজি করে হুমকি প্রদর্শন ও ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে ভীতি সৃষ্টি করে সেতু ভবন লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। একপর্যায়ে আসামিরা অফিসের মূল ফটক ভেঙে অনধিকার প্রবেশ করে সেতু ভবনের ভেতরে প্রবেশ করে নিচ তলার ভবনের সামনে রক্ষিত জিপ, কার, বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, পিকআপ, মোটরসাইকেল, নিরাপত্তা ভবন, সিসি ক্যামেরা, পার্কিং শেড, ক্যান্টিন, গাড়িচালকদের কক্ষ, আনসার শেড, মুজিব কর্নার, জেনারেটর কক্ষসহ মূল ভবন ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ ঘটায়।
এ সময় ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডে ৩২টি জিপ গাড়ি, ৯টি পিকআপ, মিনিবাসসহ আনুমানিক ৩০০ কোটি টাকার ক্ষতিসাধন করে।