কোটা ইস্যুকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে চলমান আন্দোলন ঘিরে ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার বন্ধের ব্যর্থতার সব দায়ভার নিজ কাঁধে নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, ‘তরুণ প্রজন্মের কাছে যদি আমার কোনো ভুল হয়ে থাকে, আমি প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
’
শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকেলে নাটোরে নিজ বাসভবনে জাতীয় শোক দিবস স্মরণে সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনাসভা, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠান করেন প্রতিমন্ত্রী। এ সময় তিনি এ ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অপপ্রচার বন্ধে ব্যর্থতা এবং ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হওয়ার সব দায়ভার আমার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব প্রতিরোধে ব্যর্থ হওয়ার দায় আমি নিজের কাঁধে তুলে নিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যেকোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। ’
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে গত ১৭ জুলাই রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট এবং ১৮ জুলাই রাতে বন্ধ হয়ে যায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট।
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর রোববার (২৮ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে ফোরজি সেবা চালু হয়। এর আগে পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর গত মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাতে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়। ৩১ জুলাই ফেসবুকের সঙ্গে অনলাইনে বৈঠক করেন তিনি। সেখানে ই-মেইলে ব্যাখ্যা দেয় ইউটিউব। ব্যাখ্যা দিয়েছিল টিকটকও।
যদিও আজ শুক্রবার দুপুর থেকে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে মোবাইল ইন্টারনেট দিয়ে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ঢোকা যাচ্ছে না।