পুলিশ ও বিজিবির সতর্ক অবস্থানের কারণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম হটস্পট রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বরে কর্মসূচি পালন করতে পারেনি। উত্তর ৬ নম্বরের দিক থেকে ছাত্ররা একটি মিছিল নিয়ে গেলে চত্বরের দিকে আসার চেষ্টা করলে পুলিশ ও বিজিবি ফিরিয়ে দেয়।
শুক্রবার (২ জুলাই) দুপুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
জুমার নামাজ শেষে দেখা যায় বিচ্ছিন্নভাবে কিছু ছাত্র ও যুবক গোল চত্বরের দিকে আসার চেষ্টা করলে পুলিশ ও বিজিবি তাদের দ্রুত গোলচত্বর এলাকা থেকে সরিয়ে দিয়েছে। এ সময় সেনাবাহিনীরও একটি টিম টহল দেয়।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আজ ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ কর্মসূচি ছিল। বেলা ১১টা থেকে মিরপুরে গোল চত্বরের চারদিকে পুলিশ ও বিজিবি সতর্ক অবস্থান নেয়। বিজেবির একাধিক গাড়ি গোল চত্বরের পূর্ব থেকে পশ্চিম, উত্তর থেকে দক্ষিণের সড়কে টহল দিচ্ছে।
সকাল থেকে গোল চত্বরের পুড়িয়ে দেওয়া ট্রাফিক পুলিশ বক্সে বেশ কিছু পুলিশ অবস্থান নেয়। এ সড়কে সকাল থেকে কিছু কিছু গণপরিবহন চলাফেরা করছে।
অযথা কোনো গাড়ি, পথাচারী বা যে কেউ সড়কের পাশে অবস্থান করার চেষ্টা করলেই পুলিশ তাদের সরিয়ে দিচ্ছে। বিজিবির একটি টিম পথচারী দেখলেই বা যাত্রী না-এমন একাধিক মানুষ দেখলেই হ্যান্ড-মাইকের মাধ্যমে চিৎকার করে সরিয়ে দিয়েছে।
মিরপুর-১০ নাম্বার গোল চত্বরের পূব, পশ্চিম ও উত্তর দিকে মার্কেট ও শপিংমলের পাশাপাশি হকারদের ফুট-মার্কেট রয়েছে। রয়েছে বেশ কিছু সরকারি বেসরকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অফিস। বেসরকারিকে প্রতিষ্ঠান কিছু খোলা থাকলেও জুমার নামাজের সময় থেকে ভেতর থেকে বন্ধ রয়েছে।
নামাজ শেষে মিছিল হওয়ার সম্ভাবনা থাকাতে এখানকার মার্কেট স্বল্প পরিসরে খোলার পর আবার ভেতর থেকে বন্ধ করে বসে আছে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খোলা দোকানের সংখ্যা বাড়তে থাকে।
ফুটপাথ ও গোল চত্বরের আশপাশের চায়ের দোকানগুলো খুললেও ঝুঁকি এড়াতে কয়েকজন ক্রেতার বেশি দোকানদাররা দাঁড়াতে দিচ্ছেন না।
আশপাশের বিভিন্ন মসজিদ থেকে মুসল্লিদের জুমার নামাজ পড়ে সতর্কতার সঙ্গে বাসায় চলে যেতে গেছে। কিছু তরুণ মিরপুর-১০ নাম্বার গোল চত্বরের দিকে আসার চেষ্টা করলে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।