টানা তিনদিনের ভারী বর্ষণে উখিয়া উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নের প্রায় ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চল। সরকারি হিসাব অনুযায়ী পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে আনুমানিক ১০ হাজার মানুষ। এছাড়াও দেড় হাজার একর মৎস্যঘের প্লাবিত হয়েছে। তবে পানিবন্দি মানুষের বাড়িতে এখনো পর্যন্ত পৌঁছেনি কোনো সরকারি সহায়তা। আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হলেও যেতে অনীহা প্রকাশ করতে দেখা যাচ্ছে অনেককে। সরেজমিনে, হলদিয়াপালং ইউনিয়নের চৌধুরীপাড়া, কোলালপাড়া, গোরাচান মাতবর পাড়া, সাবেক রুমখা, ক্লাশপাড়া, রত্নাপালং ইউনিয়নের পশ্চিম রত্না, সাদৃকাটা, পশ্চিম খোন্দকারপাড়া কোর্টবাজার উত্তর স্টেশনের একাংশ, জালিয়াপালং ইউনিয়নের, বাড়ুয়াপাড়া, চরপাড়া, লম্বরীপাড়া, সোনাইছড়ি, নিদানিয়া, ডেইলপাড়া, মো. শফিরবিল, রাজাপালং ইউনিয়নের হিজলিয়া খালকাঁচা পাড়া, হিজলিয়া স্টেশনের পার্শ্ববর্তী এলাকা, পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী, গৌজঘোনা, হাকিমপাড়া, তাজনিমারখোলা ও পণ্ডিতপাড়াসহ উপজেলা নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে দেখা যায়। জালিয়াপালং ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ৮শ পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছেন ইউপি সদস্য আবুল কালাম। এছাড়া জালিয়াপালং, রাজাপালংসহ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড়ধসের খবর পাওয়া গেছে। তারমধ্যে জুম্মা পাড়া এলাকার বনভূমিতে বসবাসরত শতাধিক পরিবার পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়। হলদিয়া পালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, বন্যার পানিতে তার ইউনিয়নে ৭/৮ টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় মানবেতর দিনযাপন করছে। পালংখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ১০/১২ টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি পাশাপাশি প্রায় দেড় হাজার একর মৎস্যঘের বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে কোটি কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভারী বর্ষণে উখিয়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার খবরে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) সালেহ আহমদ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা। উখিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রাসেল চৌধুরী বন্যা কবলিত এলাকায় জনসাধারণের খোঁজ-খবর নিতে দেখা যায়। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এটিএম কাউছার আহমেদ মুঠোফোনে প্রতিবেদককে বলেন, সরকারি হিসাব অনুযায়ী পাঁচ ইউনিয়নের তথ্য সংগ্রহ করে জানা যায়, এ পর্যন্ত আনুমানিক ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ৩৫টি বাড়িঘর। এখনো পর্যন্ত কেউ আশ্রয়কেন্দ্রে আসেনি। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার তথ্য সংগ্রহ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো সহায়তা প্রদান করা হয়নি।