১২দিন বন্ধ থাকার পর ১ আগস্ট থেকে বগুড়ার সান্তাোর থেকে লালমনিরহাট দুটি মেইল ট্রেনের চলাচল শুরু হয়েছে। তবে রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন,ট্রেন দু’টিতে যাত্রী সংখ্যা খুবই কম ছিল। দুটি ট্রেনের মধ্যে বগুড়া কমিউটার মেইল’ ১আগস্ট সকাল ৬টা ১০ মিনিটে লালমনিরহাট থেকে বগুড়ার সান্তাহারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।তার কুড়ি মিনিট পর সকাল সাড়ে ৬ টায় পদ্মরাগ এক্সপ্রেস’নামে অপর একটি সান্তাহার জংশন থেকে লালমনিরহাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ওই দু’টি ট্রেনের মধ্যে পদ্মরাগ এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল পৌণে ৮টায় বগুড়া স্টেশনে পৌঁছায় এবং ৫ মিনিটি বিরতি দিয়ে নির্ধারিত গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।অপরদিকে সান্তাহারগামী ট্রেনটি বগুড়ায় পৌঁছে সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে।দশ মিনিট বিরতি দিয়ে সেটি ১১টার দিকে সান্তাহরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। বগুড়ার ওপর দিয়ে ২৪ ঘন্টায় ৮টি ট্রেন ১৬ বার বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করে। এর মধ্যে ৫টি আন্তঃনগর, ২টি মেইল এবং ১টি লোকাল ট্রেন রয়েছে। আন্তঃনগর ট্রেনগুলির মধ্যে ৩টি ট্রেন ঢাকা থেকে রংপুর, লালমনিরহাট ও বুড়িমারি রুটে চলাচল করে। অপর দু’টির মধ্যে একটি বগুড়ার সান্তাহার থেকে পঞ্চগড় এবং অন্যটি সান্তাহার থেকে লালমনিরহাট আসা-যাওয়া করে। মেইল ট্রেন হিসেবে চলাচলকারী দু’টি ট্রেনই সান্তাহার-লালমনিরহাট রুটে এবং অপর একটি লোকাল ট্রেন গাইবান্ধার বোনারপাড়া থেকে সান্তাহার রুটে চলাচল করে তবে কোটাবিরোধী আন্দোলনে নাশকতার আশঙ্কায় গত ২০ জুলাই সারাদেশের মত বগুড়ার ওপর দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এর ফলে সাধারণ মানুষ বিশেষ করে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া লোকজন চরম ভোগান্তিতে পড়েন। গত ৩০ জুলাই রেলভবনে এক বৈঠকে ১ আগস্ট থেকে স্বল্প দূরত্বে লোকাল, মেইল ও কমিউটার ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নেওয়া ওই সিদ্ধান্তের পর বগুড়াসহ এ অঞ্চলের বাসিন্দারা ধারণা করেছিলেন দুটি মেইল ট্রেনের পাশাপাশি ‘কলেজ ট্রেন’ নামে একমাত্র লোকাল ট্রেনটির চলাচলও শুরু হবে। কারণ গাইবান্ধার বোনারপাড়া থেকে বগুড়ার সান্তাহারগামী ওই ট্রেনটিতে কম খরচে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। বগুড়া রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার সাজেদুর রহমান সাজু জানান, লোকাল ট্রেন চলাচলের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার চলাচল করা দু’টি মেইল ট্রেনে যাত্রীর সংখ্যা খুবই কম ছিল। কারণ জানতে চাইলে স্টেশন মাস্টার সাজেদুর রহমান সাজু বলেন,ট্রেন চলাচল শুরুর বিষয়ে হয়তো অনেকে জানতেন না।’