‘ভরবো মাছে মোদের দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে এবার জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা বুধবার সকালে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। এ সময়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিটি মেয়র বলেন, বাংলাদেশের সাদাপোনা ও চিংড়ি সেক্টরে আমাদের সফলতার অর্জন অনেক দীর্ঘদিনের। তবে অসাধু কিছু ব্যবসায়ী রাতারাতি ধনী হওয়ার জন্য চিংড়ি মাছে অপদ্রব্য পুশ করে আমাদের সফলতাকে বিদেশের বাজারে চিংড়ি রপ্তানির ক্ষেত্রকে হেও প্রতিপন্ন করে পিছিয়ে দিয়েছে। খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা অঞ্চলে চিংড়ি চাষের সম্ভাব্যের যেমন ঐতিহ্য রয়েছে, তেমনি সম্ভাবনার অনেক সফলতা ছিল বাংলাদেশের জন্য। সে কারণে পূর্বের ন্যায় আবারও অত্র অঞ্চলে পরিকল্পিতভাবে মাছচাষ সম্প্রসারণ করা গেলে দেশের জন্য বড় ধরনের অবদানের সম্ভবনার দ্বার খুলে যাবে। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মাছচাষ করলে মাছের উৎপাদন অনেক বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি প্রাকৃতিক উৎস থেকে চিংড়ির পোনা আহরণের সময় অন্য মাছের পোনা ধ্বংস থেকে বিরত থাকতে হবে। সুন্দরবনের নদী-খালে বিষ দিয়ে মাছ ধরার মতো ঘৃণ্য কাজ প্রতিরোধ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের প্রথম, মুক্তজলাশয়ে মাছ আহরণে দ্বিতীয়, তেলাপিয়া উৎপাদনে চতুর্থ এবং সামুদ্রিক মৎস্য আহরণে ২৫তম অবস্থানে রয়েছে। এ অর্জনের ধারাবাহিকতা আমাদের ধরে রাখা নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য। উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, মৎস্য অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন, খুলনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোঃ আলমগীর কবির ও খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম। খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোঃ হুসাইন শওকতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন মৎস্য অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক বিশ্বজিৎ বৈরাগী। এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মৎস্যচাষি, মৎস্যজীবী ও মাছ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, মৎস্যখাদ্য উৎপাদক ও ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিরা এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তীতে অনুষ্ঠানে খুলনা সিটি মেয়র ১২ জন সফল মৎস্য চাষি, রপ্তানিকারক ও সংগঠকদের সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন।