প্রায় ১২টি চা-বাগানের বাসিন্দাদের যাতায়াত,বিশেষ করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবস্থানের ফলে সড়কটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। শ্রীমঙ্গল উপজেলার অন্যান্য সড়কের তুলনায় হাসপাতাল সড়কটির অবস্থা বেহাল।দুই কিলোমিটারের সড়কটি খানাখন্দে ভরা তার মধ্যে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে।বিশেষ করে জোড়া পুল থেকে কাটা বট পর্যন্ত সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সড়কের কাজ অর্ধেক করলেও অজ্ঞাত কারণে বাকী অংশ রেখে যায়।বছর পেরিয়ে গেলেও সড়কটির কাজ আটকে আছে!যার ফলে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয় রোগী,শিক্ষার্থীসহ যাত্রীদের।কালীঘাট ও রাজঘাট ইউনিয়নের সর্বসাধারণের বিকল্প যাতায়াতের ব্যবস্থা থাকলেও চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের প্রধান সড়ক এটি।এছাড়াও বিজিবি ক্যাম্প,বর্ডার গার্ড স্কুল, জালালাবাদ গ্যাস অফিস,আদি নীলকণ্ঠ তাছাড়া দর্শনীয়স্থানে যেতে হয় সড়কটিতে।।সড়কটি ব্যবহার করে বাজারজাত করা হয় বিভিন্ন উৎপাদিত লেবু,আনারস,চা,খাসিয়া পান ইত্যাদি।।ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা,মোটরবাইক,জীপ,প্রাইভেটকার,সিএনজির মতো হালকা যানবাহন চলাচলে বেগ পোহাতে হয়। রাজঘাট চা-বাগানের ট্রাক্টর চালক কাজল বলেন,রাস্তায় গর্ত থাকায় বাগানের মালামাল নিয়ে বিকল্প সড়ক হয়ে শহরে প্রবেশ করি,এতে চল্লিশ মিনিট বাড়তি সময় অপচয় হয়।যত দ্রুত সম্ভব সড়কটি কাজ করে যাতায়াতের উপযোগী করে তোলার দাবী জানান তিনি। ইছুবপুর গ্রামের মো.সাদেক মিয়া (৬৬) জানান ভাগিনা সহ সার্জারি ডাক্তার কাছে আসি অটোরিকশায় চড়ে।ইছুবপুর থেকে আসতে যে সময় নিয়েছে ততটুকু সময় নিয়েছে জোড়া পুল থেকে হাসপাতালে যেতে।সড়কটি ভাঙাচোরার ফলে ভোগান্তি পোহাতে হয়।গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি দ্রুত সংস্কার করে জনদুর্ভোগ কমাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে। কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী প্রমিত ও কৌশিক জানায় কলেজে যেতে হলে হাসপাতাল সড়কটি দিয়ে যাতায়াত তাদের জন্য সুবিধা।কিন্তু সড়কের বেহাল দশার কারণে যানবাহনে ঝাঁকুনি খেতে হয় তাদের।তাছাড়া সড়কটি খানাখন্দের কারণে যানবাহন যেতে চায়না এবং বাড়তি মাশুল গুণতে হয়। জীপ চালক সামছুল হক( ৪৫)বলেন সড়কটি দিয়ে চলাচলে বিয়ারিং, চাকা, প্রায় নষ্ট হয়ে পড়ে এবং যান্ত্রিকত্রুটির ফলে লোকসানে পড়তে হয়।সড়কটি দিয়ে যাতায়াত করতে ইচ্ছে হয়না।বিকল্প সড়কে চলাচল করি এতে গাড়ি সুরক্ষিত থাকে যদিও সময় অপচয় হয়।রিপন হোটেল এর স্বত্বাধিকারী রিপন মিয়া(৩৮)বলেন সড়কের বেহাল দশার কারণে ক্রয়-বিক্রয় কমে দাড়িয়েছে ৪০শতাংশ।তিনি বলেন পর্যটকদের একটা অংশ যারা দর্শনীয় স্থানগুলোতে গমনাগমনে সড়কটি ব্যবহার করতেন।সড়কের বেহাল দশার কারণে তারা ভিন্ন পথ বেছে নিয়েছেন।এমন অবস্থায় আমাদের দোকান ভাড়া কর্মচারীদের বেতন ভাতা প্রদান করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে।তাছাড়া তিনি মনে করেন,সড়কটি নিয়ে যাত্রীদের দুর্ভোগ দীর্ঘদিনের। এবিষয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রকৌশলী মো: ইউসুফ হোসেন খান জানান,সড়কটি সংস্কারকাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়।প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কের কাজের দায়িত্ব পায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান জেরিন এন্টারপ্রাইজ।ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি সড়কের বাকী অংশ অসম্পূর্ণ রেখে চলে যায়।যার ফলে সড়কটির সংস্কার কাজে দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হয়।পরবর্তীতে পুনরায় দরপত্র আহ্বান করা হলে,হেলাল কনস্ট্রাকশন সড়ক সংস্কারকাজের দায়িত্ব পায়।তিনি বিষয়টি গুরুত্বারোপ করে বলেন আবহাওয়া অনুকূলে আসলে কাজ ধরবার জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ করা হবে।আশা করি যতদ্রুত সম্ভব সড়কটি সংস্কারকাজ শেষ করে যাতায়াতের উপযোগী করে তোলা হবে।