বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ফরিদপুরের উদ্যোগে গৃহিত আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী আরমান শিকদার। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি সরকার কর্তৃক পূরণ হওয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ফরিদপুরের উদ্যোগে যে সমস্ত আন্দোলন কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছিলো তা প্রত্যাহার করা হলো।এখন আমাদের শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাই। এসময় সংবাদ সম্মেলনস্থলে ফরিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র রিয়াদ মোল্লা ও রবিউল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে প্রিয় ফরিদপুরবাসী সম্বোধন করে বলা হয়, আপনারা সকলেই অবগত আছেন যে, সারা বাংলাদেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে সরকারি চাকুরীতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন সংঘটিত হয়। এই আন্দোলনে অনেকে অপ্রত্যাশিতভাবে আহত ও নিহত হয়েছে। এছাড়াও রাষ্ট্রীয় অনেক সম্পদ, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, সেতু ভবন, বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবন সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে যা কখনোই কাম্য নয়। আমরা এই সকল অনাকাঙ্খিত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং সুষ্ঠু তদস্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবি জানাই।আমাদের প্রধান দাবি ছিলো কোটার যৌক্তিক সংস্কার যা ইতোমধ্যেই সরকার আপিল বিভাগের নির্দেশে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করে।এখন সব ধরণের সরকারি চাকুরীতে ৯৩ শতাংশ মেধা কোটা, ৫% মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ২% অন্যান্য কোটা যা সাধারণ শিক্ষার্থীরাসাদরে গ্রহণ করে। এই জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এবং মাননীয় প্রধান মন্ত্রীকে অশেষ ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।